ফ্ল্যাট বিক্রির কথা বলে প্রতারণার মামলায় পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি হামিদুল আলম মিলনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে প্রতারণার মামলায় বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২-এ হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক মেহেদী হাসান জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একই মামলায় তার স্ত্রী শাহাজাদী আলম লিপির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। বর্তমানে পলাতক রয়েছেন লিপি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বগুড়া আদালত পুলিশের পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি হামিদুল হক মিলনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, হামিদুল আলম সারিয়াকান্দি উপজেলার হাটশেরপুর ইউনিয়নের তাজুরপাড়া গ্রামের এএসএম ইবনে আজিজের ছেলে। বগুড়া শহরের মালতিনগর এলাকায় বসবাস করতেন। তিনি ও তার স্ত্রী বগুড়া শহরে হাউজিং ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। শহরের নিশিন্দারা শাহপাড়ার বাসিন্দা জাহিদুর রহমান তাদের কাছ থেকে ফ্ল্যাট কেনার পরও বুঝে না দিয়ে প্রতারণা করেছেন। এ কারণে তিনি আদালতে মামলা করেন। ওই মামলায় সোমবার আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে কারাগারে পাঠান বিচারক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হামিদুল আলমের স্ত্রী শাহাজাদী আলম লিপি বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। হামিদুল সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে স্ত্রীর নির্বাচনি প্রচারে অংশ নেন। যার সত্যতা পায় বগুড়া-১ আসনের নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি। ওই নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ২০২৪ সালের ৪ জানুয়ারি বরিশাল মহানগর পুলিশের তখনকার অতিরিক্ত কমিশনার হামিদুল আলমকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। একইসঙ্গে তাকে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়েছিল। ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর লিপির বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা হলে আত্মগোপনে চলে যান।

















