মহাসড়কে বিআরটিসি বাস ও অনুমোদনহীন থ্রি-হুইলার চলাচল বন্ধের দাবিতে দক্ষিণাঞ্চলের ১৮টি প্রধান রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘটের হুমকি দিয়েছেন মালিকরা। আগামী ১ ডিসেম্বরের মধ্যে দাবি মানা না হলে ২ ডিসেম্বর থেকে এ ধর্মঘট শুরু হবে।
রবিবার (১৬ নভেম্বর) বাগেরহাট প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ৯টি পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা এ ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রূপসা-বাগেরহাট বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস মালিক সমিতির সভাপতি মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে অনুমোদনহীন বিআরটিসি ও ইজারা দেওয়া বিআরটিসি বাস মহাসড়কে চলাচল করায় বেসরকারি পরিবহন মালিকরা ক্ষতির শিকার হচ্ছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘উচ্চ আদালত মহাসড়কে নসিমন-করিমনসহ অবৈধ যান চলাচল নিষিদ্ধ করলেও সেগুলো অবাধে চলছে। আমরা এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন, বিআরটিএ এবং বিআরটিসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছি, কিন্তু কোনও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এটিই আমাদের শেষ হুঁশিয়ারি। ১ ডিসেম্বরের মধ্যে দাবি মানা না হলে ২ ডিসেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু হবে।’
মালিকদের প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—সব ধরনের অনুমোদনহীন ও ইজারা দেওয়া বিআরটিসি বাস চলাচল বন্ধ করা, জেলা টার্মিনালে একটি মাত্র কাউন্টার রাখার নিয়ম কার্যকর করে মহাসড়কের ওপর স্থাপিত সব কাউন্টার অপসারণ করা, দূরপাল্লার বাসে স্থানীয় যাত্রী ওঠা-নামা বন্ধ করা এবং নসিমন, করিমন, মাহিন্দ্র ও অটোরিকশার মতো অবৈধ থ্রি-হুইলার মহাসড়কে চলাচল নিষিদ্ধ করা।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বাগেরহাট আন্তজেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস মালিক সমিতির সভাপতি সরদার লিয়াকত আলী ও সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম ফকির, বাগেরহাট-রূপসা আন্তজেলা বাস, মিনিবাস ও কোচ মালিক সমিতির সভাপতি মো. সামাদ মোল্লা, ঝালকাঠি বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি আনিসুর রহমান এবং আন্তজেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বাবুসহ বিভিন্ন সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
















