দেশের জাহাজ নির্মাণ ও রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড একসঙ্গে তিনটি ল্যান্ডিং ক্রাফট জাহাজ রফতানি করছে। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জাহাজ তিনটির ক্রেতা সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান মারওয়ান শিপিং লিমিটেডের কাছে হস্তান্তর করা হয়। জাহাজ তিনটির নাম হলো- মায়া, এমি ও মুনা। এ তিন জাহাজের রফতানি মূল্য ২২ লাখ ডলার।
চট্টগ্রামের পটিয়ায় জাহাজ নির্মাণ কারখানাটির সামনে কর্ণফুলী নদীর তীরে জাহাজ তিনটির মধ্যে ‘মায়া’ নামের জাহাজটিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জাহাজগুলো হস্তান্তর করা হয়।
জাহাজ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলী আল হমোদি বলেন, দুই দেশের দতুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এই বাণিজ্যিক সম্পর্ক আমাদের মধ্যকার বন্ধুত্বকে আরও সুদৃঢ় করবে। আশা করি, ভবিষ্যতে বাংলাদেশ থেকে আরও জাহাজ আরব আমিরাতে রফতানি হবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) প্রশাসক আবদুর রহিম খান, ওয়েস্টার্ন মেরিনের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, ওয়েস্টার্ন মেরিনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন সোহেল হাসানসহ ওয়েস্টার্ন মেরিনের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ওয়েস্টার্ন মেরিনের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, জাহাজ নির্মাণ একটি শ্রমঘন ও উচ্চ প্রযুক্তির ভারী শিল্প। জাহাজ রফতানির মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখা সম্ভব।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০২৩ সালে ওয়েস্টার্ন মেরিন সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক প্রতিষ্ঠান মারওয়ান শিপিং লিমিটেডের সঙ্গে আটটি জাহাজ নির্মাণের চুক্তি করেছিল। এই আটটি জাহাজের মধ্যে রয়েছে দুটি টাগবোট, চারটি ল্যান্ডিং ক্রাফট এবং দুটি অয়েল ট্যাংকার। চুক্তির আওতায় দুটি টাগবোট এবং একটি ল্যান্ডিং ক্রাফট রফতানি করা হয়। আজ তিনটিসহ মোট ছয়টি জাহাজ রফতানি করা হচ্ছে। বাকি দুটি জাহাজ রফতানি হবে আগামী বছর। এই আট জাহাজের রফতানি মূল্য ৭০ লাখ মার্কিন ডলার।
ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড ২০১০ সালে জাহাজ রফতানিতে যুক্ত হয়। ওই বছরের ৩০ নভেম্বর প্রতিষ্ঠানটি জার্মানিতে একটি সমুদ্রগামী জাহাজ রফতানি করে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিষ্ঠানটি ১১টি দেশে মোট ৩৬টি জাহাজ রফতানি করেছে। যার বাজার মূল্য ১৩ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলারের বেশি।

















