Swadhin News Logo
সোমবার , ১৪ জুলাই ২০২৫ | ৩১শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. best
  2. cassinoBR
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও প্রকৃতি
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. চাকরি
  8. জাতীয়
  9. জোকস
  10. তথ্যপ্রযুক্তি
  11. দেশজুড়ে
  12. ধর্ম
  13. নারী ও শিশু
  14. প্রবাস
  15. বই থেকে

ভিক্টোরিয়া কলেজের গণিত বিভাগে ভর্তিতে অতিরিক্ত টাকা আদায়

প্রতিবেদক
Nirob
জুলাই ১৪, ২০২৫ ৯:৫১ পূর্বাহ্ণ
ভিক্টোরিয়া কলেজের গণিত বিভাগে ভর্তিতে অতিরিক্ত টাকা আদায়

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে ভর্তি ফি ছাড়াও অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৩০০ টাকা করে আদায় করছে কলেজের গণিত বিভাগ কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ভর্তি নীতিমালার তোয়াক্কা না করেই অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে। আর এই বাড়তি ফি না পেলে ভর্তিও নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক শিক্ষার্থী।

জানা গেছে, ভিক্টোরিয়া কলেজের গণিত বিভাগে প্রথম বর্ষে ভর্তির সুযোগ পান ১৯০ জন শিক্ষার্থী। এবারেও অনুরূপ। তবে এবারের ভর্তিতে কলেজ প্রশাসনকে না জানিয়ে প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৩০০ টাকা করে বাড়তি নিচ্ছে গণিত বিভাগ কর্তৃপক্ষ। রবিবার (১৩ জুলাই) সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়।

বিষয়টি শিক্ষার্থীদের মাঝে জানাজানি হলে তা নিয়ে প্রতিবাদ করে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। এ সময় তাদের ভর্তি নেওয়া হবে না বলেও জানান অফিসের কর্মচারীরা।

গণিত বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন সরকার মুন্না বলেন, ‘এই টাকা ম্যাথ অ্যাসোসিয়েশনের জন্য নেওয়া হচ্ছে। শুধু ভর্তির সময় ৩০০ টাকা নেওয়া হয় এবং ফরম ফিলাপের সময় ১০০ টাকা নেওয়া হয়। প্রতিটি ব্যাচ থেকে এই ফান্ডের টাকা দিয়ে বিভাগের ভ্রমণ, শিক্ষার্থীদের সহযোগিতাসহ নানান কাজে খরচ করা হয়।’

তবে একাধিক সাবেক শিক্ষার্থী জানান, ম্যাথ অ্যাসোসিয়েশনের টাকা সাবেক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বহন করা হচ্ছে। যত অনুষ্ঠান ও কার্যক্রম হয় সবগুলোই কলেজের পাশাপাশি সাবেক শিক্ষার্থীরা বহন করেন। তাই নতুন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ উত্তোলনের কোনও সুযোগ নেই। এই বিষয়ে তারা জানেন না বলেও জানান।

গণিত বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ইউনুস মিয়া বলেন, ‘এটি গণিত বিভাগের গণিত অ্যাসোসিয়েশনের জন্য নেওয়া হচ্ছে। এই বছরই প্রথম নেওয়া হচ্ছে। এটা শিক্ষার্থীরা তাদের কাজে খরচ করে। এতে আমরা নেই।’

অনেক শিক্ষার্থী বাড়তি টাকা দিতে অক্ষম তাদেরও বাধ্যতামূলক দিতে হচ্ছে, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এটা সবাইকে দিতে হবে। গরিব শিক্ষার্থীদের সহযোগিতার জন্য আমাদের এই সংগঠন। এটা থেকে ভ্রমণসহ বিভাগের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দেখা হয়।’ কলেজ প্রশাসন জানে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি চুপ থাকেন।

কলেজ অধ্যক্ষ মো. আবুল বাসার ভূঞাঁ বলেন, ‘বিষয়টি আমি জানি না। এমনটা তো করার সুযোগ নেই। আমি বিষয়টি জেনে ব্যবস্থা নেবো।’

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক