Swadhin News Logo
সোমবার , ১৪ জুলাই ২০২৫ | ৩১শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. best
  2. cassinoBR
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও প্রকৃতি
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. চাকরি
  8. জাতীয়
  9. জোকস
  10. তথ্যপ্রযুক্তি
  11. দেশজুড়ে
  12. ধর্ম
  13. নারী ও শিশু
  14. প্রবাস
  15. বই থেকে

আসামিদের ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ এসআইয়ের বিরুদ্ধে

প্রতিবেদক
Nirob
জুলাই ১৪, ২০২৫ ১২:২৩ অপরাহ্ণ
আসামিদের ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ এসআইয়ের বিরুদ্ধে

গাজীপুরের শ্রীপুরে অপহরণ মামলার আসামিদের গ্রেফতারের পর ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে ২০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে। রবিবার (১৩ জুলাই) আসামিদের পক্ষে তাদের স্বজন শ্রীপুর বাজারের ফুটপাত ব্যবসায়ী আকতার হোসেন এ অভিযোগ করেন।

অভিযোগে জানা যায়, ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার জামিরদিয়া এলাকার কৃষক ফরহাদ আহাম্মেদকে (২৫) অপহরণ ও মারধরের করে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে কয়েকজন যুবকের বিরুদ্ধে। ওই কৃষক গত ৫ জুন রাত সাড়ে ৮টায় ঈদের বাজার করার উদ্দেশে শ্রীপুর উপজেলার জৈনা বাজারে আসেন। কৃষকের পূর্বপরিচিত নাহিদ তাকে তার বাসায় যাওয়ার অনুরোধ করে। পরে তার সঙ্গে গেলে আগে থেকে ওত পেতে থাকা ৯ জনসহ তাদের ৫ জন সহযোগী তাকে জৈনা বাজারের বাউল মার্কেটের নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে শারীরিক নির্যাতনের পর মোবাইল ফোনে তার পরিবারের কাছে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এ সময় তারা কৃষকের সঙ্গে থাকা ছাগল বিক্রির নগদ ৩০ হাজার টাকা এবং একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।

এ ঘটনায় কৃষক ফরহাদ ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫ জনকে আসামি করে শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পুলিশ আসামি নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার ইচুলিয়া গ্রামের মামুন মিয়া (১৮), কাজলা গ্রামের আনিছ মিয়া (২১), দুর্গাপুর উপজেলার পশ্চিম বিলাশপুর গ্রামের সাগর মিয়া (১৯) এবং ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার সারোয়ার মিয়াকে (১৮) গ্রেফতার করে। তারা শ্রীপুরের জৈনা বাজার এলাকায় ভাড়া থেকে বসবাস করে। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের স্বজন শ্রীপুর বাজারের ফুটপাত ব্যবসায়ী আকতার হোসেনের কাছে তাদের ছাড়িয়ে নিতে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। পরে তিনি ওই এসআইকে ২০ হাজার টাকা দিলেও আসামিদের আদালতে পাঠায়। আসামিরা এখন জেলহাজতে রয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আসামিপক্ষের লোকজন আমার সামনে আসেনি। মামলা হলে আসামি ছাড়বো কেন? যারা আসামি তারা অনেক কিছুই বলে।’ আসামিপক্ষের লোকজন কেন আপনার বিরুদ্ধে এ ধরনের কথা বলবে, এ প্রশ্নের তিনি কোনও উত্তর দিতে পারেননি।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহম্মদ আব্দুল বারিক সাংবাদিকদের বলেন, ‘এরকম বিষয় আমার জানার কথা না। এটা আইনবহির্ভূত কাজ এবং ফৌজদারি অপরাধ। ভুক্তভোগীদের পক্ষে কেউ আমার কাছে অভিযোগ দিলে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্তসাপেক্ষে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করবো।’

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক