জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মরণে নওগাঁয় আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহণে হয়ে গেলো প্রতীকী ম্যারাথন। এই ম্যারাথনের আয়োজন করে নওগাঁ জেলা প্রশাসন।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) সকাল ৭টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল। পরে সেখান থেকে শুরু হওয়া এই প্রতীকী ম্যারাথন শহরের নওজোয়ান মাঠে গিয়ে শেষ হয়।
শহীদ ও আহত পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও এ কর্মসূচিতে বিভিন্ন বয়সের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন।
ম্যারাথনে অংশগ্রহণকারীরা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের আরও আয়োজনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। এ সময় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যায়।
ম্যারাথনে অংশগ্রহণকারী কলেজশিক্ষার্থী সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যারা শহীদ ও আহত হয়েছেন তাদের স্মরণে এই ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করতে পেরে খুব ভালো লাগছে। এমন আয়োজন ভবিষ্যতে আমরা আরও চাই।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নওগাঁয় নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বি বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান আন্দোলনের মাধ্যমে ছাত্র ও সাধারণ জনগণ স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে যে আশা নিয়ে যুদ্ধ করেছে সেটি যেন বিনষ্ট না হয়। আমরা জুলাইকে ধারণ করে এবং জুলাইকে সামনে নিয়ে আগামীর বাংলাদেশ গড়তে চাই। সকল বৈষম্য পেছনে ফেলে আগামীর বাংলাদেশ সুখী ও সমৃদ্ধি হোক এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
নওগাঁর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে আমরা মাসব্যাপী বিভিন্ন আয়োজন করছি। এরই ধারাবাহিকতায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এই প্রতীকী ম্যারাথনের আয়োজন। যেখানে বিভিন্ন বয়সের মানুষ মনের ভেতরে একধরনের জাগরণ নিয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে এবং ম্যারাথনটি সুন্দরভাবে শেষ হয়েছে। এই প্রতীকী ম্যারাথনের মাধ্যমে সকালের যে প্রকৃতি ও পরিবেশ সেটি অংশগ্রহণকারীরা দেখতে পেয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নিজেদের তাগিদ থেকেই নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য জুলাইয়ে সাহসী ভূমিকা রেখে যুদ্ধ করেছিলেন এ দেশের মানুষ। সেই যুদ্ধে যারা শহীদ ও আহত হয়েছেন তাদেরকে সামনে রেখে আমাদের আগামীর পথ চলতে হবে।’