ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘গ্রামীণ ও প্রান্তিক অঞ্চলের শিশুদের শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে এ প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। মসজিদভিত্তিক কার্যক্রমের মতোই মন্দিরভিত্তিক কার্যক্রম একই সুবিধায় পরিচালিত হবে। অসচ্ছল ব্যক্তির ছেলেমেয়েদের শিক্ষার সুবিধার্থে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হবে।’
শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকালে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন এবং নৈতিক শিক্ষার প্রসারে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের ভূমিকা’ শীর্ষক খুলনা জেলা কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘উপাসনালয় কেন্দ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থা হলো আদি ঐতিহ্য। আদিকাল থেকে আধুনিককাল পর্যন্ত উপাসনালয় অঙ্গনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে সুনামগঞ্জের তাহেরপুরে সরকারি ব্যয়ে মন্দির ও স্নানঘাট নির্মাণ করে দিয়েছে। অস্বচ্ছল মন্দিরে আর্থিক অনুদান দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।’ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ীর জন্য মন্দিরে সোলারপ্যানেল বসানোর পরামর্শ দেন উপদেষ্টা।
খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন- মন্দিরভিত্তিক শিক্ষা ও গণশিক্ষা কার্যক্রম-৬ষ্ঠ পর্যায়ের প্রকল্প পরিচালক ড. শ্রীকান্ত কুমার চন্দ, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ছাদেক আহমদ ও খুলনা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভাগীয় পরিচালক ম আসিনুজ্জামান সিকদার।
কর্মশালায় খুলনা জেলার নয়টি উপজেলার মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষার ২৯০ জন শিক্ষক অংশ নেন। মন্দিরভিত্তিক শিক্ষা ও গণশিক্ষা কার্যক্রম-৬ষ্ঠ পর্যায়ের খুলনা জেলা কার্যালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সন্ধ্যায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার জাপছাড়িয়া মডেল মাদ্রাসা পরিদর্শন ও ছাত্র-শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন।