সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মারিয়া সুলতানা (১৩) পাঁচ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ সোমবার (২৮ জুলাই) সকালে মারা গেছে। দুপুরে যশোরের খাজুরা মণীন্দ্রনাথ মিত্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুন্নাহার বাংলা ট্রিবিউন প্রতিনিধিকে মেয়েটির মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করেছেন।
২৩ জুলাই যশোর সদর উপজেলার কোদালিয়া বাজারে যশোর-মাগুরা সড়কে একটি যাত্রীবাহী বাসের নিচে পড়ে গুরুতর আহত হয় মারিয়া।
মারিয়া সুলতানা যশোর সদরের লেবুতলা ইউনিয়নের কোদালিয়া গ্রামের মাহবুবুর রহমানের মেয়ে এবং খাজুরা মণীন্দ্রনাথ মিত্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
স্কুলে যাওয়ার জন্য সড়কের পাশে বাস স্টপেজে দাঁড়িয়ে ছিল মারিয়া। যশোর থেকে ছেড়ে আসা মাগুরাগামী যাত্রীবাহী লোকাল বাস সকাল ৯টার পরপরই কোদালিয়া বাজারে এসে থামে। এ সময় মারিয়া বাসে ওঠার সময় তাড়াহুড়ো করে চালক বাস ছেড়ে দিলে তার কোমরের ওপর দিয়ে বাসের পেছনের চাকা উঠে যায়। এতে মারিয়া মারাত্মক আহত হয়। গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা। বেলা ১২টার দিকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।
গত ২৩ জুলাই থেকে মারিয়া ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল।
জানতে চাইলে খাজুরা মণীন্দ্রনাথ মিত্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুন্নাহার বলেন, ‘আহত শিক্ষার্থীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেয়েটি সবাইকে কাঁদিয়ে চিরবিদায় নিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মারিয়ার বাবা মাহবুর রহমান তার মৃত্যুর খবরটি আমাকে জানিয়েছেন। খবর পেয়ে স্কুলের বাচ্চারা বিমর্ষ হয়ে পড়েছে। তাদের ছুটি দেওয়া হয়েছে।’
হাসপাতালের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকাল নাগাদ তার মরদেহ আনা হতে পারে জানিয়ে প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘তার প্রিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নামাজে জানাজার জন্য এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে।’

















