দিনাজপুরের হিলিতে হাসপাতালের রোগীকে ছাড়পত্র দেওয়াকে কেন্দ্র করে কর্তব্যরত মেডিক্যাল অফিসারকে মারধরের ঘটনায় হাকিমপুর পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়কসহ ১০ জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকালে হাকিমপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন– মধ্যবাসুদেবপুর গ্রামের মৃত কাজেম উদ্দিনের ছেলে ওমর ফারুক ও তার স্ত্রী সুখী খাতুন, চণ্ডীপুর গ্রামের লিয়াকত আলীর ছেলে হাকিমপুর পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আল মামুন, দক্ষিণ বাসুদেবপুর এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে আমিরুল ইসলাম, মধ্য-বাসুদেবপুর এলাকার কুতুব উদ্দিনের ছেলে খোকন মণ্ডল, মধ্য-বাসুদেবপুর এলাকার আবু বক্করের ছেলে শাওন হোসেন, চণ্ডীপুর গ্রামের সাদেক হোসেনের ছেলে সাদ্দাম হোসেন, একই এলাকার সাদেক হোসেনের ছেলে ওয়াদুদ হোসেন, আনোয়ার হোসেনের ছেলে আলতাব হোসেন ও মোজাম্মেল হকের ছেলে আহসান হাবীব।
হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) এসএম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিয়ে উপরোক্ত আসামিরা কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মশিউর রহমানকে মারধর করেন। এ ঘটনায় ডা. মশিউর রহমান বাদী হয়ে হাকিমপুর থানায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে দিনাজপুর ডিবি পুলিশের সহযোগিতায় আসামিদের আটক করা হয়। আটকৃকতদের দিনাজপুর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।’ অন্য আসামিদেরও আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার শারীরিক অবস্থা ভালো হওয়ায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সুখী ও ফারুক দম্পতিকে ছাড়পত্র দেন ডাক্তার মশিউর রহমান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হাকিমপুর পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বাবায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন দলবল নিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক মশিউর রহমানকে মারধর করেন এবং মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যান বলে অভিযোগ উঠেছে।

















