টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপির বিজয় মিছিলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের হামলা ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুরে কালিহাতী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপির নির্বাহী কমিটির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটোর নেতৃত্বে কালিহাতী আরএস সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে একটি বিজয় মিছিল বের করা হয়। অপরদিকে, কালিহাতী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অপরপক্ষ কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য লুৎফর রহমান মতিন, উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শুকুর মাহমুদ তালুকদারসহ শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজনে মিলে নেতাকর্মীদের নিয়ে শহীদ শফি সিদ্দিকী তোরণের পাশে একটি সমাবেশ করছিলেন। টিটোর নেতৃত্বে আসা মিছিলটি সমাবেশের কাছাকাছি পৌঁছালে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে বাগবিতণ্ডা থেকে হামলা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় উভরপক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন। ঘটনার পর থেকে কালিহাতী বাসস্ট্যান্ড এলাকাসহ সমাবেশস্থল এলাকায় থমথমে অবস্থা সৃষ্টি হয়।
লুৎফর রহমান মতিনের পক্ষের উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শুকুর মাহমুদ তালুকদার বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করছিলাম। হঠাৎ করে বেনজির আহমেদ টিটোর নেতৃত্বে সমাবেশস্থলের পাশ দিয়ে মিছিল নিয়ে এসে আমাদের কর্মীদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা করা হয়। পরে আমাদের লোকজন সেটা প্রতিহত করতে ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যান। এতে আমাদের কয়েকজন কর্মী আহত হন।’
অন্যদিকে, বেনজির আহমেদ টিটোর পক্ষের উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মজনু মিয়া বলেন, ‘বেনজির আহমেদ টিটোর নেতৃত্বে আমরা কালিহাতী আরএস সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে একটি বিজয় মিছিল বের করে বাসস্ট্যান্ডে আমাদের কার্যালয়ের দিকে যাচ্ছিলাম। পথের মধ্যে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে কালিহাতী বাসস্ট্যান্ডের কাছে লুৎফর রহমান মতিন, শুকুর মাহমুদ, শাহ আলম, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হালিমসহ কয়েকজনের নেতৃত্বে তাদের কর্মী-সমর্থকরা আমাদের মিছিলে অতর্কিত হামলা চালান। এ ঘটনায় আমাদের ১০ থেকে ১৫ জন কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন। আহতরা কালিহাতী ও টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ বিষয়ে কালিহাতী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপির উভয়পক্ষের কর্মসূচি ছিল, বিজয় মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। কোনও মারামারি বা হাতাহাতি হয়নি।’