রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোগে রংপুর সিটি করপোরেশন কর্তৃক ট্রেড লাইসেন্সের ওপর আরোপিত উৎসকর ও হোল্ডিং ট্যাক্স প্রত্যাহারের দাবিতে সভা করেছেন ব্যবসায়ীরা। সভায় জানানো হয়, উৎসকর ও হোল্ডিং ট্যাক্স প্রত্যাহার না করলে লাগাতার কর্মসূচি দেওয়া হবে।
রংপুর চেম্বার অব কমার্স ভবনে বুধবার অনুষ্ঠিত সভায় চেম্বার পরিচালনা পর্ষদের নেতৃবৃন্দ, রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বার, রংপুর উইমেন চেম্বার ও সর্বস্তরের ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
রংপুর চেম্বারের সভাপতি এমদাদুল হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন- রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বারের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম পটু, রংপুর উইমেন চেম্বারের সভাপতি শাহনাজ পারভীন, রংপুর চেম্বারের সহসভাপতি ও বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির জেলা শাখার সভাপতি মো. এনামুল হক সোহেল, রংপুর চেম্বারের সহসভাপতি ও দেওয়ানবাড়ী রোড ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জুলফিকার আজিজ খান, মহানগর দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জয়নাল আবেদীন, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হারুন-অর-রশিদ, রংপুর উইমেন চেম্বারের পরিচালক গুলশান আরা ইয়াসমিন, মুদ্রণ শিল্প মালিক সমিতির সহসভাপতি ও মেট্রো চেম্বারের পরিচালক সালাউদ্দিন মোস্তফা জামাল সুমন, সার্জিক্যাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও মেট্রো চেম্বারের পরিচালক মো. মাসুদ রানা প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন রংপুর চেম্বারের পরিচালক মো. রশিদুস সুলতান বাবলু।
সভায় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ বলেন, রংপুর সিটি করপোরেশন এলাকায় ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ ও নবায়নের ওপর ব্যবসায়ীদের অন্যান্য ফি’র সঙ্গে দুই হাজার টাকা হারে উৎসকর আদায় করা হচ্ছে। এর ফলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী যারা আয়করের আওতায় পড়ে না, তাদেরও আয়কর দিতে হচ্ছে। যা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অবস্থা নাজুক। শ্রমিক-কর্মচারীর বেতন-ভাতা দেওয়াও কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই উৎসকরের বোঝা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বিকাশে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই উৎসকর প্রত্যাহারের জন্য সিটি করপোরেশনের প্রশাসকের প্রতি দাবি জানান তারা। এ ছাড়া ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, হোল্ডিং ট্যাক্সের পরিবর্তে দোকান ঘরের ভাড়াটিয়া চুক্তিপত্র দেখে ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করার অনুরোধ জানান।
সভায় রংপুর চেম্বারের সভাপতি এমদাদুল হোসেন বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা একাধারে বিনিয়োগকারী, ঝুঁকি গ্রহণকারী, কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী এবং সবমিলিয়ে দেশে দ্রব্য ও সেবা সরবরাহকারী। যে দেশ যত ব্যবসাবান্ধব, সেই দেশের অর্থনীতি তত সমৃদ্ধ। বর্তমান প্রেক্ষাপটে ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদ হার উদ্যোক্তাদের জন্য বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ছোট-বড় সব ব্যবসার ক্ষেত্রেই নানা ধরনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা না করে সিটি করপোরেশন ট্রেড লাইসেন্সের ওপর দুই হাজার টাকা উৎসকরের পাশাপাশি হোল্ডিং ট্যাক্স চাপিয়ে দিয়েছে; যা ব্যবসায়ীদের পক্ষে মেনে নেওয়া অসম্ভব।’
পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের লক্ষ্যে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি সার্চ কমিটি গঠন করা হয়। সার্চ কমিটি উৎসকর প্রত্যাহার ও হোল্ডিং ট্যাক্সের বিষয়টি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।

















