Swadhin News Logo
শুক্রবার , ৮ আগস্ট ২০২৫ | ১২ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. best
  2. cassinoBR
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও প্রকৃতি
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. চাকরি
  8. জাতীয়
  9. জোকস
  10. তথ্যপ্রযুক্তি
  11. দেশজুড়ে
  12. ধর্ম
  13. নারী ও শিশু
  14. প্রবাস
  15. বই থেকে

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ হওয়ার ৫টি সম্ভাব্য উপায়

প্রতিবেদক
Nirob
আগস্ট ৮, ২০২৫ ৯:৩৩ অপরাহ্ণ
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ হওয়ার ৫টি সম্ভাব্য উপায়

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ হওয়ার ৫টি সম্ভাব্য উপায়

দীর্ঘদিন ধরে ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের আলোচনা চলছে। কিন্তু কেন এখনই উভয় পক্ষ এই বৈঠক চাইছে?

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বাস করেন, তার ব্যক্তিত্ব ও কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগ করে রাশিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তি করা সম্ভব। তিনি মনে করেন, ক্রেমলিনের নেতার সঙ্গে সরাসরি বৈঠক করে ছয় মাসের অটল অবস্থান ভাঙা যেতে পারে। যদিও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করেছেন যে রাশিয়া ও ইউক্রেন একই জাতি, এবং রাশিয়ান সৈন্যরা যেখানেই যাবে, সেটাই রাশিয়ার অংশ বলে গণ্য হবে।

অন্যদিকে, পুতিন সময় নিতে চান। মে মাসে তিনি ইউরোপ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের শর্তহীন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। এর পরিবর্তে তিনি দুটি অপ্রাসঙ্গিক ও স্বল্পমেয়াদী একতরফা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিলেন। রাশিয়ার সামরিক বাহিনী গ্রীষ্মকালীন অভিযানে এগিয়ে যাচ্ছে, যার লক্ষ্য শরৎকালের মধ্যে এমন একটি অবস্থানে পৌঁছানো, যেখানে যুদ্ধের মাঠে প্রাধান্য নিয়ে আলোচনায় বসা যায়।

যদি ট্রাম্প ও পুতিনের বৈঠক হয়, তবে মার্কিন পক্ষের একটি লক্ষ্য হতে পারে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে নিয়ে ত্রিপাক্ষিক শীর্ষ সম্মেলন করা—যেটি রাশিয়া ইতিমধ্যে ইস্তাম্বুলে মে মাসে নাকচ করে দিয়েছে। রাশিয়ার উদ্দেশ্য হতে পারে, ট্রাম্পকে পুতিনের কথার জালে ফেলে দেওয়া।

তবে এবার এই শীর্ষ সম্মেলন হওয়ার সম্ভাবনা আছে, এবং তা এই প্রশ্ন তুলে দেয়: এই যুদ্ধ কীভাবে শেষ হতে পারে? নিচে পাঁচটি সম্ভাব্য পরিণতি দেয়া হলো:

১. পুতিন শর্তহীন যুদ্ধবিরতিতে রাজি হন

সম্ভাবনা অত্যন্ত কম
পুতিন কখনোই এমন যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবেন না, যেখানে যুদ্ধরত অবস্থান অপরিবর্তিত থাকে। মে মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও ইউক্রেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থার হুমকি দিয়ে এমন প্রস্তাব দিয়েছিল, কিন্তু রাশিয়া তা প্রত্যাখ্যান করেছিল। ট্রাম্প শাস্তি এড়িয়ে ইস্তাম্বুলে নিম্নস্তরের আলোচনার পথ নিয়েছিলেন, যা ব্যর্থ হয়েছিল। এ বছরের শুরুতে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিও সীমিত সাফল্য পেয়েছিল।

বর্তমানে রাশিয়া সামরিক অগ্রগতিকে কৌশলগত সুবিধায় রূপান্তর করছে, তাই এই মুহূর্তে থামার কোনো যুক্তি তাদের কাছে নেই। চীন ও ভারতের উপর মার্কিন চাপ বৃদ্ধির হুমকিও রাশিয়াকে এই গ্রীষ্মে পিছু হটাবে না। অন্তত অক্টোবর পর্যন্ত পুতিন লড়াই চালিয়ে যাবেন—কারণ তিনি জয়ের পথে আছেন।

২. বাস্তববাদিতা ও আরও আলোচনা

পরবর্তী আলোচনা পথ

শীতকাল আসার আগে রাশিয়া যদি পূর্ব ইউক্রেনের পোক্রোভস্ক, কোস্টিয়ানটিনিভকা ও কুপিয়ানস্ক দখল করে নেয়, তবে তারা শীতকালীন সময়ে সামরিক অবস্থান পাকাপোক্ত করতে পারবে। এতে ২০২৬ সালে রাশিয়া হয়তো আবার যুদ্ধ শুরু করবে, অথবা কূটনীতির মাধ্যমে অর্জিত এলাকা স্থায়ী করবে।

পুতিন ইউক্রেনের নির্বাচন নিয়েও বিভ্রান্তি ছড়াতে পারেন। যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনের নির্বাচন স্থগিত রয়েছে, এবং ট্রাম্প ইতিমধ্যেই জেলেনস্কির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। রাশিয়াপন্থী কোনো প্রার্থীকে ক্ষমতায় আনার চেষ্টাও হতে পারে।

৩. ইউক্রেন দুর্দশা কাটিয়ে উঠতে পারে

পশ্চিমা সহায়তায় টিকে থাকা
মার্কিন ও ইউরোপের সামরিক সহায়তা ইউক্রেনকে সামনে কিছুটা ছাড় দিতে সাহায্য করবে, এবং রাশিয়ার সামরিক ব্যর্থতা পুতিনকে আলোচনায় বসতে বাধ্য করতে পারে। পূর্ব ইউক্রেনের কিছু শহর রাশিয়ার দখলে যেতে পারে, কিন্তু তাদের অগ্রযাত্রা ধীর হয়ে আসবে।

ইউরোপ ইতিমধ্যেই ইউক্রেনে একটি ‘নিরাপত্তা বলয়’ মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে। ন্যাটোর কয়েক হাজার সৈন্য কিয়েভ ও অন্যান্য শহরে মোতায়েন হতে পারে, যা রাশিয়াকে আরও অগ্রসর হতে নিরুৎসাহিত করবে। এটি ইউক্রেনের জন্য সর্বোত্তম ফলাফল হতে পারে।

৪. ইউক্রেন ও ন্যাটোর জন্য বিপর্যয়

রাশিয়ার বড় বিজয়
ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের পর পশ্চিমা ঐক্য ভেঙে পড়তে পারে। মার্কিন সমর্থন ছাড়া ইউরোপ একা ইউক্রেনকে রক্ষা করতে পারবে না। রাশিয়া ধীরে ধীরে দোনবাস থেকে ডিনিপ্রো, জাপোরিঝিয়া ও কিয়েভের দিকে অগ্রসর হতে পারে। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা দুর্বল হয়ে পড়লে, জেলেনস্কিকে বড় ধরনের সেনা সমাবেশের নির্দেশ দিতে হবে, যা রাজনৈতিক সংকট তৈরি করবে।

ন্যাটো যদি ঐক্যবদ্ধ প্রতিক্রিয়া দিতে ব্যর্থ হয়, তবে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বের অবসান হতে পারে। এটি ইউরোপের জন্য একটি দুঃস্বপ্ন।

৫. পুতিনের জন্য বিপর্যয়: আফগানিস্তানের পুনরাবৃত্তি

রাশিয়ার পরাজয়
রাশিয়া যদি সামান্য অগ্রগতির জন্য প্রতি সপ্তাহে হাজারো সৈন্য হারাতে থাকে, তবে অর্থনৈতিক চাপ ও অভ্যন্তরীণ অসন্তোষ বাড়বে। চীন ও ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে টানাপোড়েন তৈরি হতে পারে। রাশিয়ার অর্থনীতি সংকটে পড়লে, মস্কোর অভিজাতরা পুতিনের বিরুদ্ধে সরব হতে পারেন।

এই পরিস্থিতিতে, পুতিনের পতনও অসম্ভব নয়—যেমনটি সোভিয়েত ইউনিয়নের আফগানিস্তানে হয়েছিল। এমনকি পুতিনের ঘনিষ্ঠ ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের বিদ্রোহও দেখিয়েছে যে রাশিয়ার নেতৃত্ব দুর্বল হতে পারে।

সূত্র: সিএনএন নিউজের বিশ্লেষণ।

/এআই

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক