এক ব্যক্তিকে আটকের পর তার স্বজনদের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা ‘চাঁদা’ না পেয়ে ‘ইয়াবা দিয়ে মামলায় ফাঁসানোর’ অভিযোগে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) পুলিশের দুই সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
সোমবার (১১ আগস্ট) চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ারের আদালতে মামলাটি করেন নগরের ডবলমুরিং এলাকার সাবিনা আক্তার নামে এক গার্মেন্টস শ্রমিক।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন– গোয়েন্দা বন্দর বিভাগের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মহসিন ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আজাদ।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. আফজাল হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)-কে নির্দেশ দিয়েছেন।’
মামলার এজাহারে সাবিনা আক্তার উল্লেখ করেন, গত ২২ জুলাই বাদীর ভাই জাকির হোসেনকে ডিবি পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। পরে তার কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করা হয়। টাকা দিতে অপারগতা জানালে তাকে মারধর করা হয়। খবর পেয়ে বাদী মনসুরাবাদ ডিবি কার্যালয়ে গেলে অভিযুক্তরা জানান, জাকিরের কাছ থেকে তিন হাজার ইয়াবা পাওয়া গেছে। এক লাখ টাকা দিলে ৪০০ ইয়াবা দিয়ে মামলা দেওয়া হবে, আর দুই লাখ টাকা দিলে ছেড়ে দেওয়া হবে। টাকা না পেয়ে পরদিন ২৩ জুলাই নগরের ডবলমুরিং থানায় ৪০০ ইয়াবা উদ্ধার দেখিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) মাহমুদা বেগম বলেন, ‘আদালতে দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আদালত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে সে অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

















