
সিরাজদিখান-শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) করেসপনডেন্ট:
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার সবগুলো ইউনিয়নেই রয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র। তবে নেই পর্যাপ্ত সেবা।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ১১ মাস ধরে এসব কেন্দ্রে কোনো ধরনের ওষুধ সরবরাহ হয়নি। যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে চিকিৎসা সংকট। ফলে চিকিৎসা সেবাই বন্ধ হয়ে গেছে এসব কেন্দ্রে।
সরেজমিন দেখা গেছে, লতব্দী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রে দীর্ঘদিন ধরে জনবল ও ওষুধ সংকট চলছে। এর ফলে প্রতিমাসে হাজারও মানুষ; বিশেষ করে নারী ও শিশুরা প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। গর্ভবতী মায়েদের প্রাথমিক চিকিৎসা, স্বাস্থ্যপরামর্শ, সর্দি-জ্বর ও ডায়রিয়ার মতো সাধারণ রোগের চিকিৎসা দিতে গিয়েও হিমশিম খাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। অপর্যাপ্ত চিকিৎসক ও কর্মী সংকট পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।
একই অবস্থা এই উপজেলার চিত্রকোট, শেখর নগর, রাজানগর, কেয়াইন, বাসাইল, রশুনিয়া, লতব্দী, বালুচর, ইছাপুর, বয়রাগাদি, মালখানগর, মধ্যপাড়া, জৈনসার এবং কোলা ইউনিয়নে। অর্থাৎ এ উপজেলার সবগুলো ইউনিয়নেই চলছে তীব্র চিকিৎসা সংকট।
লতব্দীর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রে সেবা নিতে আসা স্থানীয় বাসিন্দা বাঁধন আক্তার ও মুক্তা মল্লিক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আগে এখান থেকে ওষুধ ও পরামর্শ পেতাম। এখন না ডাক্তার আছে, না ওষুধ। বাধ্য হয়ে বাজার থেকে উচ্চ ফি দিয়ে চিকিৎসা নিতে হয়, যা সবার পক্ষে সম্ভব নয়।
এ ব্যাপারে সিরাজদিখান উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আফছানা পারভীন জানান, আমাদের ফ্যামিলি প্লানিংয়ের লোকবল অনেক কম। আমাদের ১৪৮ জনের মধ্যে প্রায় ৭৫ জন লোকবল আমাদের নেই। ২০২৪ সাল থেকেই এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারংবার জানানো হয়েছে। তবে তেমন গুরুত্ব পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও বলেন, আমরা চেষ্টা করছি যেন গর্ভবতী নারীদের জরুরি সেবা বন্ধ না হয়। এলাকাবাসীর সহায়তায় সীমিত পরিসরে কিছু সেবা চালু রয়েছে। তবে তাদের কাজের মান কিছুটা ধীর সেটিও স্বিকার করে নিয়েছেন তিনি।
এদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগ, বারবার অভিযোগ করেও পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় তারা হতাশ। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে এর চেয়েও ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলেও শঙ্কা জনমনে।
/এমএইচ
















