Swadhin News Logo
শনিবার , ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ৩১শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. best
  2. cassinoBR
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও প্রকৃতি
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. চাকরি
  8. জাতীয়
  9. জোকস
  10. তথ্যপ্রযুক্তি
  11. দেশজুড়ে
  12. ধর্ম
  13. নারী ও শিশু
  14. প্রবাস
  15. বই থেকে

চুয়াডাঙ্গায় মাটি খোঁড়ার সময় বেরিয়ে এলো ব্রিটিশ আমলের ধাতব মুদ্রা

প্রতিবেদক
Nirob
সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৫ ৬:৫৪ অপরাহ্ণ
চুয়াডাঙ্গায় মাটি খোঁড়ার সময় বেরিয়ে এলো ব্রিটিশ আমলের ধাতব মুদ্রা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপনডেন্ট, চুয়াডাঙ্গা:

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা বাজারে দোকান নির্মাণের জন্য মাটি খোঁড়ার সময় স্থানীয়রা শত বছরের পুরোনো রুপা সদৃশ ধাতব মুদ্রা উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে মুদ্রাগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের প্রক্রিয়া চলমান।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কার্পাসডাঙ্গা বাজারে দোকান নির্মাণ করার জন্য শহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি আজ শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে মাটি খুঁড়তে গিয়ে একটি পাত্র দেখতে পান। তা থেকেই শত বছরের পুরোনো ধাতব মুদ্রাগুলো উদ্ধার করেন তিনি।

শহিদুল ইসলাম জানান, মাটির হাঁড়ির মতো কিছু বের হওয়ার পর সেটির ভেতরে তারা প্রচুর রূপা সদৃশ ধাতব মুদ্রা দেখতে পান। খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে উৎসুক জনতার ভিড় জমে। পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনও দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মুদ্রাগুলো নিরাপদে উদ্ধার করেন।

তিনি আরও বলেন, আমি স্থানীয় দু’জন সোনার দোকানীকে দেখিয়েছি, তারা এটাকে রুপা বলছেন। প্রশাসনকে জানিয়েছি, তারাই পরীক্ষার পর ভালো বলতে পারবে। উদ্ধারকৃত মুদ্রাগুলো ব্রিটিশ আমলের, ১৮৬৫ থেকে ১৯০৮ সালের মধ্যে ছাপা। প্রতিটি মুদ্রার গায়ে খোদাই করা আছে ‘ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি’ নাম। এখানে থেকে মোট ১ হাজার ৮৭৬টি ধাতব মুদ্রা উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

উদ্ধারকৃত মুদ্রা

স্থানীয় স্বর্ণকাররা জানিয়েছেন, প্রতিটি মুদ্রার বর্তমান বাজারমূল্য বলা সম্ভব না। তবে প্রাচীন ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনায় এর প্রকৃত মূল্য অনেক বেশি হতে পারে।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তিথি মিত্র বলেন, উদ্ধারকৃত মুদ্রাগুলো খুবই মূল্যবান এবং প্রাচীন ঐতিহ্যের অংশ বলে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। আমরা এগুলো পরীক্ষার জন্য পুলিশের সহযোগিতায় স্থানীয় সোনার দোকানে পাঠিয়েছি। পরবর্তী সিদ্ধান্ত জেলা প্রশাসক স্যার নেবেন। এরপর নির্ধারণ করা হবে এগুলো রাষ্ট্রের কোষাগারে সংরক্ষণ করা হবে নাকি প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

/এএইচএম

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক