চাঁপাইনবাবগঞ্জ করেসপনডেন্ট:
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার চামুশা ও চান শিকারী সীমান্ত দিয়ে তৃতীয় দফায় ১৯ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তাদের মধ্যে ৩ শিশু, ৬ জন নারী এবং ১০ জন পুরুষ রয়েছেন।
বিজিবি ও স্থানীয়রা জানায়, বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ভোর পাঁচটার দিকে ভোলাহাট উপজেলার চামুশা বিওপি ও চান শিকারী বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ এলাকার আর্ন্তজাতিক সীমান্তপিলার ১৯৬/২-এস এর নিকট দিয়ে ১৯ বাংলাভাষীকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দেয় বিএসএফ। এসময় বিজিবির টহলদল তাদেরকে সীমান্ত এলাকা থেকে আটক করে।
আটক হওয়া ব্যক্তিরা হলেন— চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলর নরেন্দ্রপুর চরমহিষপুর গ্রামের আমজাদ আলীর ছেলে লুৎফর রহমান (৩৮), রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ি উপজেলার চরআষাড়িয়াদহ গ্রামের সালাম শেখের ছেলে আসাদুল (৩৩), গোগ্রাম শ্রীরামপুর গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২৮), মালকামলা গ্রামের বদরুজ্জামানের ছেলে হযরত আলী (২৮), যশোরের চৌগাছা উপজেলার সুখপুকুরিয়া আড়সিংরী গ্রামের রওশেদ আলী মন্ডলের ছেলে আরিফ হোসেন (৩৮), রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার চরখি কমলা গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে আব্দুর রহমান (৩৭), মাগুরা জেলার সদর উপজেলার গাংনী নতুনগ্রামের মৃত শিবু দাস শিকদারের ছেলে সয়ন সিকদার (২২), খুলনা জেলার সদর উপজেলার পুকুরজানা ঘোপখালী গ্রামের গোলাম মোস্তফার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস (২৬), ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার নবীনগর গ্রামের বাবুল হোসেনের মেয়ে সুমি (২৫), সুজনের শিশু সন্তান আব্দুল্লাহ (২ মাস), কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি উপজেলা হাজিপাড়া দাসিয়াছড়া কালিরহাট হাজিপাড়া গ্রামের এমবি আব্দুল মোতালেবের ছেলে মেহেদুল ইসলাম (২৩), হোসেন আলীর ছেলে এবি আব্দুল মোতালেব (৪৭), শামছ উদ্দীন হকের ছেলে মোকছেদুল হক (৩০), মুন্নাফ খন্দকারের মেয়ে মুর্শিদা বিবি (৩৭), আবু তাহের খন্দকারের মেয়ে শরিফা বেগম (২৫), মোকছেদুল হকের ছেলে রমজান হক (০৩), নড়াইল জেলার কালীয়া উপজেলার কতুয়ালী গ্রামের দোলা মিয়া শেখের মেয়ে রেহেনা বেগম (৫৫), ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলার গড়পয়ারী গ্রামের গিয়াস উদ্দীনের মেয়ে শাপলা আক্তার (২১) এবং মারুফ হোসেনের মেয়ে রুহী আক্তার (০২)।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৯ মহানন্দা বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল গোলাম কিবরিয়া প্রেস নোটের মাধ্যমে জানান, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, ২০১৫ সাল থেকে ২০২৪ সালের বিভিন্ন সময়ে কাজের সন্ধানে অবৈধভাবে তারা ভারতে প্রবেশ করেছিল এবং ভারতীয় পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। পরে বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগ শেষে পুলিশ তাদেরকে বিএসএফর নিকট হস্তান্তর করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদেরকে ভোলাহাট থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, একই সীমান্ত এলাকা দিয়ে গত ৩ জুন ৮ জনকে; এবং ১৪ আগষ্ট ১৩ জনকে বাংলাদেশে পুশ ইন করেছিল বিএসএফ।
/এমএইচ