স্টাফ করেসপনডেন্ট, খাগড়াছড়ি:
খাগড়াছড়িতে পাহাড়ে বসবাসকারী দু’পক্ষের বিরোধের জেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য জারি করা ১৪৪ ধারা চলছে। জোরদার আছে নিরাপত্তা। যেকোনও ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে বিভিন্ন এলাকায় টহল দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এদিকে, ১৪৪ ধারা জারির ফলে জেলার মানুষের জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে শহরের গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ত সড়কগুলোতে মানুষের চলাচল কম দেখা গেছে। এছাড়া দোকানপাটও তেমন একটা খুলতে দেখা যায়নি।
এর আগে, গতকাল শনিবার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে খাগড়াছড়ি সদর ও পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ আদেশ জারি থাকবে বলে জানানো হয়। এছাড়া, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলায় ৭ প্লাটুন বিজিবিও মোতায়েন করা হয়।
পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও জনগণের জানমালের ক্ষতি সাধনের আশংকা থাকায় এ ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। শনিবার দুপুর ২টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে।
প্রসঙ্গত, গতকাল শনিবার সকাল থেকে পাহাড়ে নারী নিপীড়ন বন্ধ ও জড়িতদের শাস্তির দাবিতে খাগড়াছড়িতে জুম্ম ছাত্র-জনতার ব্যানারে সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ শুরু করে বিক্ষোভকারীরা। এতে সাজেকে অবস্থান করা প্রায় দুই হাজার পর্যটক আটকা পড়ে। এছাড়া খাগড়াছড়িতে আটকা পড়ে সাজেকগামী প্রায় হাজারখানেক পর্যটক। পরে শনিবার রাতে সেনা নিরাপত্তায় সাজেকে আটকে পড়াদের খাগড়াছড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়।
শনিবার অবরোধের শুরু থেকেই খাগড়াছড়ি জেলা সদরের চেঙ্গী ব্রীজ, চেঙ্গী স্কোয়ার ও মহাজন পাড়াসহ কয়েকটি স্থানে পিকেটিং ও সড়কে টায়ার জ্বালায় আন্দোলকারীরা। জেলার আঞ্চলিক মহাসড়ক এবং অভ্যন্তরীণ সড়কেও চোরাগোপ্তা পিকেটিং এবং গাছের গুড়িও ফেলে অবরোধকারীরা।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার খাগড়াছড়ি সদরের সিঙ্গিনালা এলাকায় মারমা স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা হয়। এ ঘটনায় সন্দেহভাজক একজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়। পরে তাকে ৬ দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত।এই ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ও জড়িতদের শাস্তির দাবিতে বুধবার থেকে জুম্ম ছাত্র-জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ শুরু হয়।
/আরএইচ