সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, নারায়ণগঞ্জ:
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে ১৫ কিলোমিটার রাস্তাজুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড থেকে সোনারগাঁয়ের মেঘনা টোলপ্লাজা পর্যন্ত এ যানজট ছড়িয়ে পড়ে বলে স্থানীয়রা জানায়। একই সঙ্গে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিভিন্ন অংশেও গাড়ির ধীরগতি ও থেমে থেমে যানবাহন চলাচল করার খবর পাওয়া গেছে।
শারদীয় দুর্গাপূজার টানা চার দিনের ছুটিকে কেন্দ্র করে রাজধানী ও আশপাশ থেকে গ্রামের পথে মানুষের ঢল নামায় এবং দড়িকান্দিসহ দুটি স্থানে যানবাহন বিকল হয়ে পড়ায় এ যানজট সৃষ্টি হয়েছে বলে ট্রাফিক পুলিশ দাবি করেন। বুধবার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত এ যানজট অব্যাহত ছিল। দুুপুর সাড়ে ১২টায় যানজট সৃষ্টি হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাঁচপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী ও শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ টিআই জুলহাস উদ্দিন।
স্থানীয় লোকজন ও যাত্রীরা জানান, পূজার ছুটি শুরু হওয়ায় অনেকেই গ্রামের বাড়ি রওনা হয়েছেন। এতে যানবাহন চলাচলও বেড়ে গেছে। সাধারণ দিনে সাইনবোর্ড থেকে মেঘনা টোলপ্লাজা পর্যন্ত যেতে যেখানে আধ ঘণ্টা সময় লাগে সেখানে বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সেখানে তিন থেকে চার ঘণ্টা লেগেছে।
এক ভুক্তভোগী যাত্রী আয়েশা আক্তার বলেন, প্রতি বছর পূজার ছুটিতে আমরা গ্রামের বাড়িতে যাই। কিন্তু এ বছর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এসেই যানজটে আটকা পড়ি। এ সময় মহাসড়কে ভয়াবহ যানজট দেখতে পাই। কখন গন্তব্যে পৌঁছাতে পারব তা জানি না। বাসযাত্রী আলম মিয়া বলেন, সিলেট যেতে সাধারণত ছয়-সাত ঘণ্টা লাগে। কিন্তু আজ সকালে রওনা হয়েছি, এখনও রাস্তায় অবস্থান করছি। কমে পৌঁছতে পারব জানি না। এতে আমাদের ভোগান্তির শেষ নেই।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, বৈরী আবহাওয়া ও ছুটির কারণে মহাসড়কে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি গাড়ির চাপ বেড়েছে। এতে যানবাহনের গতি কমে গিয়ে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়েছে। এখন (দুপুর সাড়ে ১২টায়) যানবাহন চলাচল করছে। ধীরে ধীরে যানজট কমে আসবে। শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ টিআই জুলহাস উদ্দিন বলেন, সোনারগাঁয়ের দড়িকান্দিসহ দুটি স্থানে গাড়ি বিকল হওয়ায় এ যানজট ছড়িয়ে পড়ে। এ যানজট সাইনবোর্ড থেকে টোলপ্লাজা পর্যন্তÍ ছড়িয়ে পড়েছিল। বর্তমানে গাড়ি চলছে তবে ধীরগতি। যানজটে গাড়ি ঠায় দড়িয়ে নেই বলে দুপুর দুইটায় জানান হাইওয়ে পুলিশের ওসি। তবে মাহসড়কের গাড়ির চাপ অনেক বেশী।
/এটিএম