নিজস্ব প্রতিবেদক
খুলনা মহানগরীর ১ নম্বর কাস্টমঘাট এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে ইমরান মুন্সী (২৮) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। সোমবার (৬ অক্টোবর) রাতে কাস্টমঘাট মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, রাত সাড়ে আটটার দিকে মোটরসাইকেলযোগে চারজন মুখোশধারী আসলে তারা ইমরান মুন্সীর ওপর পরপর গুলি চালায়। স্থানীয়রা তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ইমরান মুন্সী নগরীর মুন্সিপাড়া দ্বিতীয় লেনের বাসিন্দা ও বাবুল সরদারের ছেলে। তিনি পেশায় ইট–বালুর ব্যবসায় জড়িত ছিলেন। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে বলেছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার এবং পুরনো বিরোধ এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে প্রণোদনা হিসেবে থাকতে পারে।
ঘটনাস্থল থেকে তিন রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও অস্ত্র উদ্ধারের জন্য অভিযান চালাচ্ছে এবং আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, ইমরানের সঙ্গে এলাকার আরেক প্রভাবশালী ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল ও সাম্প্রতিক সময়ে দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা উত্তেজনা দেখা গেছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, সাবেক খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের অনুসারী পাঁচ ভাই — স্বপন, সুজন, বাবু, রিপন ও মিলন — এ হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত।
নিহতের ফুফু সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আগেও ইমরানকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। থানায় অভিযোগ জানালে পুলিশ মামলাটি গ্রহণ করেনি বলে পরিবারের অভিযোগ। পরিবারের সদস্যরা পুলিশের কাছে দ্রুত হত্যাকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, “আমরা সকল এঙ্গেল থেকে ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছি। সিসিটিভি ফুটেজ এবং পরিচিত উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
পুলিশ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অস্ত্র ও মোটরসাইকেল উদ্ধারে অভিযান জোরদার করেছে এবং মামলার সকল পর্যায়ে দ্রুততম সময়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে।
