
সিলেট ব্যুরো:
নগরীর টিলারগাঁও এলাকায় একসময় একশ শতকের সবুজ টিলা ছিল। এখন এই স্থানটিকে দেখে বিরানভূমি মনে হতে পারে। সেখানে দিনে দুপুরেই টিলার ধ্বংসযজ্ঞ চলছে। সম্প্রতি পরিবেশ অধিদফতর থেকে নোটিস দেয়া হলেও টিলা কাটা থামেনি।
স্থানীয়রা জানান, অভিযোগ দেয়ার পরে পুলিশ টিলা কাঁটা বন্ধ করলেও কিছুদিন পর আবারও শুরু হয়। টিলা কেটে মাটি বিক্রি করা হয়।
এদিকে দাম্ভিকতার সাথে টিলা কাটার কথা স্বীকার করে মালিক বিএনপি নেতা শাহ এম এ হক বলেন, বাড়ির ওপরে মাটি পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। এক্ষেত্রে টিলার উপরের অংশ কাটলে সেটা কি পরিবেশ নষ্ট করা হবে? এর ফলে মানুষের জীবন রক্ষা হলো।
অন্যদিকে, টিলারগাঁওয়ের পাশ্ববর্তী জাহাঙ্গীরনগর ও পোড়াবাড়ি এলাকার চিত্র একই। সেখানেও টিলা কেটে বানানো বাসা-বাড়ি হয়েছে। কোথাও আবার প্লট তৈরি করে রাখা হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় বিএনপি নেতা ও টুকেরবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুর রহমানের প্রভাব খাটিয়ে এমন ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।
চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান বলেন, কিছু নিরাপরাধ মানুষকে টিলা কাটার মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। তদন্ত করে এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক।
চলতি বছরেই অভিযোগের প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়ায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে পরিবেশ অধিদফতর। তারপর আর খোঁজ রাখেনি তারা।
সিলেট পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক মো. ফেরদৌস আনোয়ার বলেছেন, সরজমিনে অনুসন্ধান করেই জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। অহেতুকভাবে মামলা দেয়ার সুযোগ নেই।
জেলা প্রশাসন জানায়, দ্রুতই টিলা কাটার সাথে জড়িতিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সিলেটের জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরাদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন কাজ করছে। প্রশাসন টিলা কাটার সাথে জড়িতদের সাথে একাধিকবার আলোচনা করেছে। এরপরও যারা এটি বন্ধ করছে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
পরিবেশবাদীদের তথ্য মতে, গত এক দশকে সিলেটে অন্তত ৬১টি টিলা কেটে ফেলা হয়েছে। আর টিলা ধসে অর্ধশত মানুষ মারা গেছেন।
/আরএইচ

















