রংপুর ব্যুরো:
রংপুরের তারাগঞ্জে অজ্ঞান পার্টি সন্দেহে গণপিটুনিতে দুইজন নিহতের ঘটনায় গ্রেফতার চারজনকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে রংপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতের বিচারক কৃষ্ণ কমল রায় এ আদেশ দেন।
কোর্ট ইন্সপেক্টর আমিনুল ইসলাম জানান, দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার রফিকুল ইসলাম কড়া নিরাপত্তায় তাদের আদালতে তোলেন এবং পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। বিচারক শুনানি শেষে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডে পাঠানো আসামিরা হলেন— উপজেলার চরকডাঙ্গা বালাপুরের আখতারুল ইসলাম, রহিমাপুর এলাকার আইয়ুব আলী, বুড়িড়হাট ডাঙ্গাপাড়ার রফিকুল ইসলাম ও সয়ার বালাপুরের ইবাদত আলী।
এর আগে, গত শনিবার রাত ৯টায় তারাগঞ্জের সয়ার ইউনিয়নের বটতলী থেকে অজ্ঞান পার্টি সন্দেহে রুপলাল এবং প্রদীপ কুমার নামের দুই ব্যক্তিকে আটক করে স্থানীয় কয়েকজন। আটককৃতদের কাছে চোলাইমদ ও ওষুধ পাওয়া যায়। সেগুলো পরীক্ষা করতে গিয়ে কয়েকজন অসুস্থ হলে ক্ষুব্ধ জনতা তাদের বুড়িরহাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নিয়ে পিটুনি দেয়। পরে দুজনই মারা যান।
এ ঘটনায় রূপলালের স্ত্রী মালতী রানী ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। সোমবার (১১ আগস্ট) ওই মামলায় চারজনকে গ্রেফতার করে আদালতের আদেশে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
এ ঘটনায় ২ এসআই এবং ৬ কনস্টেবলকে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি। এছাড়াও এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে পরিবর্তন করে তারাগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত রফিকুল ইসলামকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তারাগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম জানান, আদালতের নির্দেশ মেনে নিয়ম অনুযায়ী তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আশা করছি জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের শনাক্ত করার কাজটি সহজ হবে। সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
/এমএইচ