Swadhin News Logo
রবিবার , ২২ জুন ২০২৫ | ১৭ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. আন্তর্জাতিক
  2. কৃষি ও প্রকৃতি
  3. ক্যাম্পাস
  4. খেলাধুলা
  5. চাকরি
  6. জাতীয়
  7. জোকস
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম
  11. নারী ও শিশু
  12. প্রবাস
  13. বই থেকে
  14. বিজনেস
  15. বিনোদন

ইরানের আকাশসীমা বন্ধ থাকার পরও যেভাবে বিদেশ যান আরাঘচি

প্রতিবেদক
Nirob
জুন ২২, ২০২৫ ১:০১ পূর্বাহ্ণ
ইরানের আকাশসীমা বন্ধ থাকার পরও যেভাবে বিদেশ যান আরাঘচি

আকাশসীমা বন্ধ থাকার পরও রাজনৈতিক প্রতিনিধি দলের সদস্যদের সাথে নিয়ে জেনেভা ভ্রমণ করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি।

যেখানে তিনি তিনটি ইউরোপীয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রবিষয়ক উচ্চ প্রতিনিধির সাথে সাক্ষাৎ করেছেন।

ইসরাইলি আক্রমণ এবং ইরান-ইসরাইল সংঘাত শুরুর পর এটিই প্রথমবারের মতো তার ইরানের বাইরে যাওয়ার ঘটনা।

সংঘাত শুরুর পর আরাঘচি কিভাবে ইরান ত্যাগ করেছিলেন তা ঘোষণা করা হয়নি। তাই প্রশ্ন উঠেছে, ইরানের আকাশসীমা বন্ধ থাকার পরও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিভাবে দেশের বাইরে এই মিশনে গেলেন?

ইরানের আকাশসীমা বন্ধের সিদ্ধান্ত দেশটির সামরিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের একটি অভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্ত যা বাস্তবায়নের জন্য দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থাকে জানানো হয়।

বিমান চলাচলের জন্য আকাশসীমা বন্ধ থাকলেও প্রয়োজন ও ধরনের ভিত্তিতে ট্রানজিট, অবতরণ, ওভারফ্লাইট বা অন্য যেকোনো ধরনের আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি দিতে পারে দেশগুলো।

দেশের বাইরে মিশনে যেতে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা সরকারি বিমান ব্যবহার করেন। যেগুলো ইরানের ইসলামী প্রজাতন্ত্রের মালিকানাধীন এবং বাণিজ্যিক বা যাত্রীবাহী বিমান হিসেবে বিবেচনা করা হয় না।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী যখন কোনো মিশনে যান কিংবা বিদেশ ভ্রমণ করেন, তখন জরুরি ভিত্তিতে একটি নির্দিষ্ট বিমান করিডোর খোলা হয় যাতে মন্ত্রীর বিমানটি যাত্রা শুরু করতে পারে। বিদেশী নাগরিকদের সরিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে।

যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে এটা সম্ভব যে- ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটি চলাচলের জন্য এমনভাবে পথ বেছে নিয়েছিল যা বিমানটিকে ইরানের আকাশে সবচেয়ে কম সময়ের জন্য রাখে এবং যত দ্রুত সম্ভব ‘বেশি ঝুঁকিপূর্ণ’ এলাকা থেকে দূরে সরিয়ে নেয়।

সীমান্ত ত্যাগ করার আগে এই বিমানটিকে যুদ্ধবিমান দিয়ে নিরাপত্তা দেয়া হয়েছিল এটা ভাবাও খুব একটা অবাস্তব নয়। যেমন গত বছর ইরান-ইসরাইল সামরিক সংঘর্ষের পর, কাতারে সরকারি সফরের সময় ইরানের রাষ্ট্রপতি মাসুদ পেজেশকিয়ানকে বহনকারী বিমানটিকে যুদ্ধবিমান দিয়ে নিরাপত্তা দেয়া হয়েছিল।

যদি কোনো কারণে দেশের আকাশে বিমান উড্ডয়ন একেবারেই নিরাপদ মনে না হয়, তাহলে এটাও সম্ভব যে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্থলসীমান্ত দিয়ে প্রতিবেশী কোনো দেশে প্রবেশ করেছেন এবং সেখান থেকে বাণিজ্যিক যাত্রীবাহী বিমানে তার গন্তব্যের দিকে রওনা হয়েছেন।

সরকারের রাজনৈতিক কর্মকর্তাদের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের একজন যাকে যুদ্ধের সময়ও শারীরিক আক্রমণ কিংবা সামরিক হুমকি থেকে মুক্ত রাখা হয়।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক