
শোভাযাত্রা, কোরআন-ফাতেহা পাঠ আর হামদ্-নাতের মাধ্যমে প্রিয় নবীকে স্মরণ করছেন বিশ্ব মুসলিমরা। বিভিন্ন দেশে বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী। বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্ম ও ওফাৎ দিবস উপলক্ষে মধ্যপ্রাচ্য, উপসাগরীয় এবং উত্তর আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে রয়েছে নানা আয়োজন।
ঈদে মিলাদুন্নবীতে ইয়েমেনের রাজধানী সানা রূপ নেয় জনসমুদ্রে। এ উপলক্ষে আয়োজন করা হয় শোভাযাত্রা। যাতে অংশ নেন লাখো লাখো মানুষ। মহান আল্লাহর প্রতি আনুগত্য আর তার রাসুলের প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে পাঠ করা হয় দরূদ এবং নাত।
মিলাদুন্নবীর অনুষ্ঠানে আসা একজন বলেন, রাসুল (সা:) সারাজীবন নির্যাতিতদের পক্ষে ছিলেন। ইয়েমেনের মানুষ নির্যাতনের শিকার। তাই তার প্রতি আমাদের এই ভালোবাসা।
আরেকজন বলেন, প্রতিবছরই এই আয়োজন করে থাকি আমরা। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়ায়ের মধ্যেও আমাদের এই উদযাপন চলছে।
বিশাল এই র্যালিতে অংশ নেন হাজার-হাজার মুসল্লি। মহান আল্লাহর প্রতি আনুগত্য আর তার রাসুলের প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে পাঠ করা হয় দরুদ এবং নাত। হুতি বিদ্রোহীদের এই আয়োজনে উঠে আসে গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রসঙ্গও।
৫৭০ খ্রিস্টাব্দের ১২-ই রবিউল আউয়াল জন্মগ্রহণ করেন প্রিয় নবী। আগতরা জানান- মানব জাতিকে সঠিক পথ-প্রদর্শনের জন্য প্রেরণ করা হয়েছিলো তাকে; তিনি গোটা বিশ্বের জন্যেই রহমত।
পবিত্র এই দিনটিকে ঘিরে নানা আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়েছে তিউনিসিয়াতেও। ঐতিহ্যবাহী বাজনার তালে তালে নাত পরিবেশনের মাধ্যমে বের করা হয় জুলুছ। বিভিন্ন আয়োজন করা হয় ইরাক, ভারত, পাকিস্তানসহ অন্যান্য মুসলিম দেশগুলোতেও।
উল্লেখ্য, বিশেষ এই দিনটিকে কেন্দ্র করে সাজানো হয়েছে মসজিদসহ বিভিন্ন মুসলিম স্থাপনাও।
/এমএইচআর
















