কাতারে হামলার জেরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একাট্টা হয়ে কড়া বার্তা দিলো প্রভাবশালী একাধিক দেশ।
তেলআবিবের সাথে সম্পর্ক পুনর্বিবেচনার কথা ভাবছে কানাডা। অন্য দেশের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আরব দেশ জর্ডান। উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় দেশ ক্রোয়েশিয়া। নেতানিয়াহু প্রশাসনকে দমাতে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে সৌদি আরবও।
৭২ ঘণ্টায় ৬ দেশে আগ্রাসন চালিয়েছে ইসরায়েল। মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র কাতারে বিমান হামলার মধ্য দিয়ে বিশ্বজুড়ে রীতিমতো নিন্দার ঝড় তুলেছে ইসরায়েল। উপসাগরীয় দেশটিতে প্রথমবারের মতো অভিযান পরিচালনা করেছে আইডিএফ। যারা দীর্ঘদিন ধরে হামাসের সাথে তেলআবিবের সমঝোতায় মধ্যস্থতা করে আসছে।
কাতারে হামলার ঘটনাকে অগ্রহণযোগ্য মনে করছে কানাডা। তেলআবিবের সাথে সম্পর্ক পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অটোয়া। ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্তে অটল থাকার কথাও জানিয়েছে কার্নি প্রশাসন।
কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনিতা আনন্দ বলেন, আমরা ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়ন করছি। অবশ্যই, কাতারে যে হামলা করা হয়েছে তা অগ্রহণযোগ্য। এটা তাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন। কাতার যখন শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছিলো তখন প্রাণহানি ঘটলো। কানাডা মধ্যপ্রাচ্যের শান্তির জন্য কাজ করছে।
ইসরায়েলকে আগ্রাসী আখ্যা দিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আরেক দেশ জর্ডান। তাদের দাবি, অন্য রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করে না তেলআবিব। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি বলে, এই হামলা প্রমাণ করে ইসরায়েল এখনও আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। অন্য রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের প্রতি তারা কোনো সম্মান দেখায় না। তেলআবিবের আগ্রাসী আচরণ দমনে এখন সময় বিশ্বের এক সাথে কাজ করার।
উদ্বেগ জানিয়েছে ইউরোপের আরেক দেশ ক্রোয়েশিয়া। ক্রোয়েট পররাষ্ট্রমন্ত্রী গ্রিলিক রাডম্যান বলেন, ইসরায়েলের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। সহযোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।
অন্যদিকে, তেলআবিবের আগ্রাসন বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি জোরালো পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।
/এমএইচআর