ইসরায়েল যত বড় হামলাই করুক না কেন, যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতায় পিছপা হবে না কাতার। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) ইসরায়েলি হামলা মোকাবিলায় আরব-ইসলামিক শীর্ষ সম্মেলনের আগে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়। সেখানেই এই মন্তব্য করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আল-থানি। খবর আলজাজিরার।
তিনি জানান, গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করতে কাতার, মিশর এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। ইসরায়েলি হামলা এই প্রচেষ্টাকে থামাতে পারবে না। গত সপ্তাহে দোহায় হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে আক্রমণ মূলত ‘মধ্যস্থতার নীতির উপরই আক্রমণ’। তবে সকল হুমকি উপেক্ষা করে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। সেইসাথে, এই হামলাকে ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ’ বলেও অভিহিত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আল-থানি।
অপরদিকে, কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল-থানি দোহায় জরুরি আরব-ইসলামিক শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তুতিমূলক অধিবেশনে বলেন, এই আক্রমণ কেবল রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ হিসেবেই বর্ণনা করা যেতে পারে। বর্তমান ইসরায়েলি চরমপন্থি সরকার আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে যাচ্ছে। তবে এ ধরনের হামলা দোহার মধ্যস্থতা প্রচেষ্টা বন্ধ করতে পারবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কাতারে বিমানহামলা চালায় ইসরায়েল। হামাসের শীর্ষ নেতাদের লক্ষ্য করে চালানো হয় ওই হামলা। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে ইসরায়েলের এই হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরব নেতাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। ইসরায়েলের নজিরবিহীন হামলার প্রায় এক সপ্তাহ পর কাতারের প্রতি সংহতির বার্তা দিতে আজ দোহায় একত্র হচ্ছেন আরব ও মুসলিম দেশের নেতারা।
/এএইচএম