কাতারভিত্তক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা সম্প্রতি দুদিনব্যাপী এক সম্মেলনের আয়োজন করেছে, যেখানে যুদ্ধক্ষেত্রে সাংবাদিকদের বিপদের কথা তুলে ধরা হয়েছে। সম্মেলনে একটি ছোট টেন্ট, রক্তমাখা হেলমেট এবং প্রেস লেখা জ্যাকেট ও ভাঙা সরঞ্জাম প্রদর্শিত হয়েছে, যা সাংবাদিকতার ঝুঁকি এবং ত্যাগের দৃশ্য তুলে ধরেছে।
গাজার এই যুদ্ধে ৩০০-এর বেশি সাংবাদিক এবং মিডিয়াকর্মী নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে আল জাজিরার সংবাদকর্মী ছিলেন ১০ জন।
সম্প্রতি, আল জাজিরার সাংবাদিক আনাস আল-শারিফসহ কয়েকজনকে ইসরায়েলি হামলায় হত্যা করা হয়। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের লুইস অলুইন বিকেত বলেন, গাজা সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে এক মাইলফলক হয়ে দাঁড়িয়েছে, কারণ এখানে সাংবাদিকরা ইচ্ছাকৃতভাবে লক্ষ্যবস্তু হচ্ছেন কিংবা হয়েছেন।
আল জাজিরার নতুন মহাপরিচালক শেখ নাসের বিন ফয়সাল আল থানি বলেন, ‘সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সকল সংবাদমাধ্যমের মূল দায়িত্ব। এটি ছাড়া যুদ্ধাপরাধ লেখা হবে না। সাংবাদিকদের রক্ষা মানে সত্যকেই রক্ষা করা।’
ওয়েল দাহদূহ, একজন আল জাজিরার সাংবাদিক, তার পরিবার নিহত হওয়ার পরও পেশাদারিত্ব বজায় রেখেছেন এবং কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘গাজায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সাংবাদিকদের হত্যা করা হচ্ছে এবং তাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চলছে’।

আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সাংবাদিকদের সুরক্ষা যুদ্ধক্ষেত্রে স্পষ্টভাবে আইনের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের যুগে ‘সাংবাদিক’ সংজ্ঞাটিও সম্প্রসারণ করা জরুরি। নারী সাংবাদিকদের জন্য বিশেষ সুরক্ষা ব্যবস্থাও থাকা উচিত।
কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস এবং অন্যান্য সংগঠন সতর্ক করেছেন, যদি এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়া হয়, আগামীতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।
/এআই