ইসরায়েলি চার জিম্মির মরদেহ রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তর করেছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন (হামাস)। তবে ইসরায়েলের দাবি, যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী সব মৃতদেহ ফেরত না দিয়ে হামাস প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) জানায়, সোমবার (১৩ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় গাজা উপত্যকায় অবস্থানরত তাদের সেনারা রেড ক্রসের কাছ থেকে চারটি কফিন গ্রহণ করে, যেখানে নিহত বন্দিদের মরদেহ থাকার কথা বলা হয়েছে।
ইসরায়েলি পুলিশ সদস্যরা ওই কফিনগুলো তেল আবিবের আবু কাবির ফরেনসিক ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাচ্ছেন, যেখানে মরদেহগুলোর পরিচয় শনাক্তের প্রক্রিয়া চলবে।
হামাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, যাদের মরদেহ হস্তান্তর করা হচ্ছে তারা হলেন গাই ইলুজ, ইয়োসি শরাবি, বিপিন জোশি ও ড্যানিয়েল পেরেজ। তবে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছে, হামাস অতীতে এমনও করেছে যে, বন্দিদের বদলে অন্য ব্যক্তির মরদেহ ফেরত দিয়েছে।
তবে, হামাসের হাতে থাকা আরও ২৪ জন নিহত বন্দির ভাগ্যে কী ঘটেছে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি সংগঠনটি।
ইসরায়েলের তথ্য অনুযায়ী, জোশির মৃত্যু পূর্বে নিশ্চিত করা হয়নি। তবে তার সুস্থতা নিয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছিল কর্তৃপক্ষ। জোশি ছিলেন নেপালের একজন কৃষি শিক্ষার্থী।
ইসরায়েলের চ্যানেল ১২ জানায়, আরেক বন্দি তামির নিমরোডির পরিবারকে সোমবার (১৩ অক্টোবর) জানানো হয়েছে তিনি মারা গেছেন। তবে এটি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত নয়। বন্দিদের পরিবারের ফোরাম জানিয়েছে, তারা এই বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক তথ্য পায়নি।
তামির নিমরোডি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর তার সেনা ঘাঁটি থেকে অপহৃত হন। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে তিনি নিহত হয়েছেন—এমন ধারণাই ছিল, কারণ ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলেছিলেন তারা ২০ জন জীবিত এবং ২৮ জন নিহত বন্দির প্রত্যাবর্তনের আশা করছেন। সোমবারই হামাস তাদের হাতে থাকা শেষ ২০ জীবিত বন্দিকেও ফেরত দেয়।
নিহতদের মধ্যে—
- গাই ইলুজ, যিনি নোভা সঙ্গীত উৎসব থেকে অপহৃত হন এবং চিকিৎসা না পাওয়ায় গাজা হাসপাতালে মারা যান (তার মৃত্যু ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে নিশ্চিত হয়)।
- ইয়োসি শরাবি (৫৩), মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দি ইলি শরাবির ভাই, কিববুটজ বেইরি থেকে অপহৃত হন এবং বন্দিদশায় নিহত হন।
- ড্যানিয়েল পেরেজ (২২), ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ৭ম সাঁজোয়া ব্রিগেডের ৭৭তম ব্যাটালিয়নের প্লাটুন কমান্ডার, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের সঙ্গে যুদ্ধে নিহত হন।
- বিপিন জোশি, নেপালের কৃষি শিক্ষার্থী, যার মৃত্যু নিয়ে আগে কোনো নিশ্চিত তথ্য ছিল না।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল।
/এআই