
ইউএস প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে একটি নতুন বাণিজ্য চুক্তি ঘোষণা করেছেন, যেখানে দক্ষিণ কোরিয়ার পণ্যের ওপর ১৫% শুল্ক আরোপ করা হবে।
স্থানীয় সময় বুধবার (৩০ জুলাই) ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্টে তিনি বলেন, ‘নতুন এই চুক্তি অনুযায়ী, দক্ষিণ কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রকে ৩৫০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের সুযোগ দেবে এবং আমি নিজে প্রেসিডেন্ট হিসেবে তা নির্বাচন করবো।’
গত এপ্রিলে, দক্ষিণ কোরিয়ার পণ্যের ওপর ২৫% ‘পারস্পরিক’ শুল্ক প্রযোজ্য হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ট্রাম্প ডজনখানেক দেশের ওপর এই শুল্ক সাময়িকভাবে স্থগিত রাখেন। এই স্থগিতাদেশ আগামীকাল শুক্রবার (আগস্ট ১) শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে নতুন ১৫% শুল্ক আগের ১০% ন্যূনতম শুল্কের চেয়ে বেশি, যা গত এপ্রিল থেকে দক্ষিণ কোরিয়া ও অন্যান্য অনেক দেশের পণ্যের ওপর প্রযোজ্য ছিল।
ট্রাম্পের এই শুল্ক নীতির প্রভাব ইতিমধ্যেই দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনীতিতে পড়তে শুরু করেছে। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে দেশটির জিডিপি অপ্রত্যাশিতভাবে ০.১% সংকুচিত হয়েছে, যা গত চার বছরে প্রথম নেতিবাচক প্রবণতা। ২৫% শুল্ক আরোপিত হলে এই সংকট আরও গভীর হতো।
এটি আমেরিকার সকল বাণিজ্যিক অংশীদার দেশের জন্যই একটি বড় দ্বন্দ্ব—হয় ট্রাম্পের শর্ত মেনে আগস্ট ১-এর ‘সর্বোচ্চ শুল্কপ্রাপ্ত’ তালিকা থেকে বেরিয়ে আসা, নয়তো দাঁড়িয়ে থেকে বিপজ্জনক উচ্চ শুল্ক মোকাবেলা করা।
গত কয়েক মাস ধরে ধারণা ছিল যে, ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে শুল্ক আগের মতো পর্যায়ে ফিরে যাবে না। কিন্তু এখন রাষ্ট্রপ্রধানরা বুঝতে পারছেন যে, শুক্রবারের পর শুল্ক বর্তমান পর্যায়েও ফিরে আসার সম্ভাবনা কম।
সূত্র: সিএনএন নিউজ।
/এআই

















