ভারতে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) সংক্রান্ত অভিযোগ নিয়ে সোমবার (১১ আগস্ট) দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশন কার্যালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচি পালন করছে দেশটির বিরোধী দলগুলো। কর্মসূচি পালনকালে সেখান থেকে ভারতের লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি এবং কংগ্রেস নেতা প্রিয়াঙ্কা গান্ধিসহ বেশ কয়েকজন নেতাকে আটক করেছে দিল্লি পুলিশ।
বিবিসি জানিয়েছে, আটকের সময় রাহুল গান্ধি উপস্থিত নেতাকর্মী ও জনগণের উদ্দেশে বলেন, ‘এটা সংবিধান বাঁচানোর লড়াই’। পাশাপাশি, স্বচ্ছ ভোটার তালিকা প্রকাশেরও দাবি জানান এই নেতা।
রাহুল গান্ধি বলেন, আমরা কথা বলতে পারি না, এটাই সত্য। এই লড়াই রাজনৈতিক নয়। এটা সংবিধান বাঁচানোর লড়াই। এক ব্যক্তি, এক ভোটের লড়াই। তাই আমরা একটা পরিষ্কার ভোটার তালিকা চাই।
এর আগে, সংসদ থেকে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ের দিকে মিছিল বা পদযাত্রা করছিলেন বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ ব্লকের সংসদ সদস্যরা। যাত্রাপথে তারা পরিবহন ভবনের সামনে দিয়ে অগ্রসর হন। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, এই পদযাত্রার জন্য আগে থেকে অনুমতি নেয়া হয়নি।
পরিবহন ভবনের কাছে ব্যারিকেড দিয়ে তাদের বাধা দেয় পুলিশ। বিরোধীদলের সংসদ সদস্যরা সেখানেই অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। সে সময়ই রাহুল গান্ধি, প্রিয়াঙ্কা গান্ধিসহ কয়েকজনকে আটক করা হয়।
এদিকে আটক বিষয়ে দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে বিরোধী সংসদ সদস্যদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় তাদের আটক করা হয়েছে।
নয়াদিল্লি পুলিশের ডিসিপি দেবেশ কুমার বলেছেন, নির্বাচন কমিশন প্রায় ৩০ জন সংসদ সদস্যকে বৈঠকের অনুমতি দিয়েছিল। তবে সংসদ সদস্যদের সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ার কারণে তাদের আটক করা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ভোটার তালিকায় এসআইআর সংক্রান্ত অভিযোগ নিয়ে সোমবার দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দফতর ঘেরাওয়ের কর্মসূচি পালন করে বিরোধী দলগুলো। এসআইআরের কারণে বিহারের ভোটার তালিকা থেকে ৬৫ লক্ষ নাম বাদ পড়ার অভিযোগ উঠেছে। বিহারের ভোট চলতি বছরের শেষের দিকে।
বিরোধী দলগুলো জানিয়েছে, বিহারের নির্বাচনী তালিকা সংশোধন প্রক্রিয়া বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে। তাদের দাবি, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) যেন নিরপেক্ষভাবে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে এবং সব তথ্য প্রকাশ করে।
/এএম