নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: আধুনিক জীবনযাত্রার চাপ ও রাতজাগার অভ্যাস অনেকের জন্য স্বাভাবিক বিষয় হয়ে উঠেছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, রাত জাগা শরীর ও মনের জন্য মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।
মানসিক প্রভাব
নিয়মিত রাত জাগার ফলে মস্তিষ্ক পর্যাপ্ত বিশ্রাম পায় না। এর ফলে মাথাব্যথা, মনোযোগে ঘাটতি, স্মৃতিশক্তি দুর্বল হওয়া এবং অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগ দেখা দেয়। দীর্ঘমেয়াদে বিষণ্নতা বা ডিপ্রেশনের ঝুঁকিও থাকে।
শারীরিক প্রভাব
অপর্যাপ্ত ঘুম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। এতে সাধারণ সংক্রমণ, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ এবং স্থূলতার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এছাড়া ডায়াবেটিসের আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়।
চোখ ও পাচনতন্ত্রের সমস্যা
রাত জাগার ফলে হজম ব্যাহত হয়, গ্যাস্ট্রিক ও এসিডিটির সমস্যা দেখা দেয়। চোখে শুষ্কতা, জ্বালা-পোড়া এবং ঝাপসা দেখা সাধারণ সমস্যা।
দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি
দীর্ঘমেয়াদে রাত জাগার অভ্যাস অকাল বার্ধক্য ডেকে আনে। ত্বকে বলিরেখা, কিডনি ও লিভারের ওপর চাপ বৃদ্ধি এবং হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়।
করণীয়
বিশেষজ্ঞরা সুস্থ থাকতে প্রতিদিন ৭–৮ ঘণ্টা ঘুমানোর পরামর্শ দিয়েছেন। প্রতিদিন রাত ১০ টা থেকে সকাল ৪ টা পর্যন্ত ঘুমের উত্তম সময়। নিয়মিত ঘুম এবং সময়মতো বিশ্রাম নিলে রাত জাগার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব।