শুল্ক নিয়ে জটিলতা কেটে যাওয়ায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে সাত দিন ধরে আটকে থাকা আমদানি করা ভারতীয় চাল খালাস কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বাজারে এসব চালের সরবরাহ বাড়লে দাম কমে আসবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার দুপুর থেকে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা আমদানি রকা চাল খালাসের জন্য বিলঅবএন্ট্রি সাবমিট শুরু করছেন। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আমদানিকৃত চাল পরীক্ষণ শুল্কায়ন করে ছাড় করছেন। প্রায় চার মাস বন্ধের পর ১২ আগস্ট থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়। তবে শুল্ক জটিলতার কারণে সাত দিন ধরে বন্দরে ৮৮টি ট্রাকে ৩ হাজার ৮৫৯ টন চাল আটকে ছিল। চাল আমদানিতে শুল্ক ৬৩.৫ ভাগ থাকায় খালাস নিচ্ছিলেন না আমদানিকারকরা। শুল্ক কমিয়ে ২ ভাগ নির্ধারণ করে কাস্টমসের সার্ভারে আপলোড করা হলে চাল খালাস শুরু হয়।
হিলি স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাশেদ ইসলাম বলেন, ‘সরকার চাল আমদানির অনুমতি দিলেও চালের ওপর আরোপিত শুল্ক ৬৩.৫ ভাগ বহাল রাখে। এতে প্রতি কেজি চালে শুল্ক দিতে হবে ৪০ টাকা, তাই চালের দাম পড়ছিল ৯৫ টাকার মতো। ফলে ভারত থেকে চাল আমদানি করে বিপাকে পড়েন আমদানিকারকরা। বাড়তি শুল্কের কারণে চাল খালাস করছিলেন না তারা। তারা আশায় ছিলেন আমদানি শুল্ক কমার। সেই মোতাবেক সোমবার কাস্টমসের সার্ভারে চালের ওপর থেকে শুল্ক ৬৩.৫ ভাগ থেকে কমে ২ ভাগ করার বিষয়টি আপলোড হয়। এরপর আজ সংশ্লিষ্ট আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে চাল খালাসের জন্য এনওসিসহ সব কাগজপত্র দিলে আমরা আজ দুপুরের পর কাস্টমসের বিলঅবএন্ট্রি সাবমিট শুরু করেছি। সেই সঙ্গে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ২ ভাগ শুল্ক আদায় করে চাল ছাড়করণ দিচ্ছে। এতে বন্দরে সাত দিন ধরে যেসব চাল আটকে ছিল সেগুলো খালাস শুরু হয়েছে। এসব চাল বাজারে ছাড়া শুরু হলে চালের দাম কমে আসবে।’
হিলি স্থলশুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘এখন থেকে আমদানিকারকরা ২ ভাগ শুল্ক দিয়ে চাল খালাস নিতে পারবেন। আর কোনও সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।’
বাজার স্থিতিশীল রাখতে দ্রুততার সঙ্গে চাল ছাড়করণ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।