লঘুচাপের প্রভাবে চরম অশান্ত হয়ে উঠেছে বঙ্গোপসাগর। উত্তাল ঢেউয়ে টিকতে পারছেন না জেলেরা। ইলিশ আহরণে যাওয়া সব ফিশিং ট্রলার গভীর সাগর থেকে নিরাপদ এলাকায় ফিরে এসেছে। মঙ্গলবার থেকে গভীর সাগরে ইলিশ আহরণ বন্ধ রয়েছে। ফিরে আসা এ সব ফিশিং ট্রলার নিয়ে সুন্দরবনসহ উপকূলের বিভিন্ন স্থানে নোঙর করে আছেন জেলেরা।
বাগেরহাটের দুবলার চরের ভেদাখালী খালে আশ্রয়ে থাকা ফিশিং ট্রলারের মাঝি মিজানুর রহমান জানান, দুদিন ধরে প্রচণ্ড ঝড়ো বাতাসে সাগর উত্তাল রয়েছে। ঢেউয়ের আঘাতে টিকতে না পেরে গভীর সাগর থেকে সব ট্রলার উঠে এসেছে। দুদিন ধরে বহু ট্রলার সুন্দরবনের বিভিন্ন খালে নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে।
সমুদ্রগামী ফিশিং ট্রলার মালিক আবুল হোসেন বলেন, ‘লঘুচাপের কারণে সাগর উত্তাল থাকায় ইলিশ আহরণ বন্ধ হয়ে গেছে। সোমবার রাত থেকেই জেলেরা গভীর সমুদ্র ছেড়ে ট্রলার নিয়ে কূলে ফিরতে শুরু করেন। বর্তমানে গভীর সাগরে কোনও ফিশিং ট্রলার নেই। সাগর ছেড়ে আসা শ শ ট্রলার সুন্দরবনের মেহেরআলী, ভেদাখালী, আলোরকোলসহ উপকূলের মহিপুর, খেপুপাড়া, নিদ্রাসখিনা, পাথরঘাটা ও শরণখোলার বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।
‘ট্রলার নিয়ে সাগরে নামলেই দুর্যোগ শুরু হয়। এ কারণে জেলেরা ঠিকমতো সাগরে জাল ফেলতে পারেন না। কয়েক বছর ধরে ইলিশ মৌসুম শুরু হলেই দুর্যোগ এসে হানা দিচ্ছে। এতে চরম লোকসানে পড়ে নিঃস্ব হচ্ছেন জেলে ও মহাজনরা।’
দুবলার চর বিশেষ টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্টার সুব্রত কুমার দাস জানান, বঙ্গোপসাগরে প্রচণ্ড ঝড়ো বাতাস ও ঢেউ হচ্ছে। ঢেউয়ের তাণ্ডবে সাগরে টিকতে না পেরে বহু ট্রলার সুন্দরবনের বিভিন্ন খালে এসে আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রয়ে থাকা ট্রলার ও জেলেদের নিরাপত্তাসহ সার্বিক খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।

















