যশোরের কেশবপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক পলাশ কুমার মল্লিককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন ১০-১২ জন ব্যক্তি।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে উপজেলার সাহাপাড়ায় খ্রিষ্টান মিশনারির এলাকার একটি দোকান থেকে তাকে আটক করা হয়। শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
এর আগে পলাশ কুমার মল্লিকের বাড়ির দেয়ালে কে বা কারা ‘১০ লাখ টাকা চাই, আসবো বাঁচতে পারবা না’ লেখা সংবলিত একটি পোস্টার টানিয়ে দিয়ে যায়।
তবে পুলিশ বলছে তার কাছে চাঁদা দাবি কিংবা মারধরের বিষয় ঠিক নয়। স্থানীয় লোকজন শুক্রবার রাতে তাকে ধরে পুলিশে খবর দেয়। শনিবার দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
পলাশ কুমার মল্লিকের শ্বশুর সুভাষ চন্দ্র মন্ডল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমার জামাতা গতকাল রাতে একটি চায়ের দোকানে বসে গল্প করছিল। এ সময় ১০-১২ জন লোক চড়-থাপ্পড় দিয়ে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। বিষয়টি শুনে আমি স্থানীয় দুই বিএনপি নেতাকে জানাই। এরপর বিষয়টি স্থানীয় আর্মি ক্যাম্পে জানানোর জন্য বের হলে থানা থেকে কল আসে। পুলিশ জানায়, জামাতাকে থানায় দিয়ে গেছে ওসব ব্যক্তি।’
কাউকে কোনও টাকা-পয়সা দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না। বিস্ফোরক দ্রব্যের একটি মামলায় তাকে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। যদিও আমার জামাতার নামে কোনও মামলা ছিল না।’
জানতে চাইলে কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, স্থানীয় লোকজন সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান পলাশ কুমারকে গতকাল রাতে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশের ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় তারা নিজেরাই পলাশকে থানায় দিয়ে যায়। তবে তাকে মারধর করা হয়নি। পলাশ নিজেও তাই বলেছেন। মারধর করা হলে অবশ্যই প্রাথমিক চিকিৎসার দরকার হতো। তার বাড়ির দেয়ালে কেউ কিছু লিখে রেখে গেছে কিনা, তা আমাদের জানাননি পলাশ। তার মোটরসাইকেলের চাবি আমাদের দেওয়া হয়েছিল। পরে সেটি তার শ্বশুরের কাছে হস্তান্তর করেছি আমরা। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।’