কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীবাহী একটি বিআরটিসি বাস ইউটার্ন নিতে গিয়ে ট্রাকের ধাক্কায় দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
রবিবার (২৪ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বেলতলীর ইউটার্নে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত বাস শিডিউল অনুযায়ী দুপুর ২টায় ‘ঢাকা মেট্রো-ব ১১-৪৯৫১’ নম্বর প্লেটের ০৪ নং বিআরটিসির লাল বাসটি শিক্ষার্থীদের নিয়ে ক্যাম্পাস থেকে ছেড়ে যায়। বেলতলী-পদুয়ার বাজার রুটে চলাচলরত বাসটি বেলতলীতে ইউটার্ন নেওয়ার সময় একটি ট্রাক বাসের সামনের দিকে ধাক্কা দেয়। এতে বাসের সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ভেতরে থাকা বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।
তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের উদ্ধার করে নিকটস্থ ফার্মেসিতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে কেউ গুরুতর আহত হননি বলে নিশ্চিত করেছেন বাসে থাকা পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ওসমান গনি।
দুর্ঘটনার বর্ণনায় প্রত্যক্ষদর্শী ওসমান গনি বলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বেলতলী ইউটার্নে ঘোরার সময় আমাদের বাসটি খুব ধীরেই ইউটার্ন নিচ্ছিল। অর্ধেক ইউটার্ন নেওয়ার পর একটা ট্রাক দেখে থেমে যায়। কিন্তু ট্রাকটি কোনও ধরনের গতি বা দিক পরিবর্তন না করে সোজা চলে যায়। এতে বাসের সামনে জোরে ধাক্কা লাগে। সামনের কিছু অংশ মুচড়ে যায় এবং গ্লাস ভেঙে পড়ায় কাচের টুকরো শিক্ষার্থীদের গায়ে লেগে কয়েকজন আহত হয়েছেন। এরপর শিক্ষার্থীরা ট্রাককে ধরার চেষ্টা করলে দ্রুত গতিতে পালিয়ে যায়। বাসে আহত শিক্ষার্থীরা নিকটস্থ ফার্মেসিতে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। ভাগ্য ভালো কেউ গুরুতর আহত হননি।’
অভিযোগের সুরে তিনি আরও বলেন, ‘লাল বাসে হেলপার থাকে না এটা একটা সমস্যা। প্রশাসন যেন লাল বাসে হেলপারের বিষয়টি আমলে নেয়। তাছাড়া বিআরটিসির বাস গুলো লক্কড়-ঝক্কড় করে এবং এগুলোর ফিটনেস নেই। ফিটনেসবিহীন বাস শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ না।’
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলের সহকারী রেজিস্ট্রার মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘আমাদের ভাড়ায় চালিত বিআরটিসি ৪ নম্বর বাসকে একটা ট্রাক ধাক্কা দিয়েছে শুনেছি। এতে কতজন আহত হয়েছেন, সঠিক তথ্য এখনও পাইনি।’
বাসে হেলপার ছিল না কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই বাসগুলো সরকারি। এতে হেলপার দেওয়ার জন্য আমরা সর্বোচ্চ আবেদন করতে পারি, এর বেশি কিছু না।’
ফিটনেসবিহীন বাসের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিআরটিসি বাস যেহেতু সরকারি বাস, এগুলো পরিবর্তন করতে পারে একমাত্র সরকার। আমরা পরিবহন পুল থেকে বারবার তাদের সঙ্গে কথা বলতেছি ভালো ফিটনেসের গাড়ি দেওয়ার জন্য। কিন্তু, সরকার গত আঠারো-ঊনিশ বছর ধরে গাড়ি কিনতেছে না। গাড়ির ফিটনেস খারাপ হওয়ার কারণে আমরা অনেকদিন ধরে তাদের সাথে চুক্তি আটকে রেখেছি।’
















