নোয়াখালী পৌর এলাকায় স্বামী, শাশুড়ি ও দেবরকে আটকে রেখে এক গৃহবধূকে (১৮) ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ৭ থেকে ৮ জন যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত হানিফ (২৯) ও কামরুল (৪৫) নামের দুজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা।
রবিবার (২৫ আগস্ট) বিকালে মাইজদী পৌর বাজার এলাকা থেকে তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হচ্ছেন, জেলার সদর উপজেলার কাদির হানিফ ইউনিয়নের দরবেশপুর গ্রামের ওলি উল্যার ছেলে হানিফ ও একই ইউনিয়নের বাহাদিপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে কামরুল।
ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ জানান, গত শুক্রবার ভোরে তাদের বাড়ি (সুবর্ণচর) থেকে পারিবারিক বিষয় নিয়ে রাগ করে বের হয়ে মাইজদী চলে আসেন তার স্বামী। পরে স্বামীর পেছন পেছন অন্য একটি গাড়ি নিয়ে মাইজদী পৌর বাজার আসেন তিনি। সকাল ৭টার দিকে তারা দুজন পৌর বাজারের একটি দোকানের সামনে বাক-বির্তকে লিপ্ত হন। এক পর্যায়ে হানিফসহ দুজন এগিয়ে এসে ছেলেটি কে জানতে চাইলে—তিনি স্বামী বলে তাদের জানান। তারপরও হানিফসহ ওই দুজন তার স্বামীর ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারধর শুরু করে।
তিনি জানান, এরপর বিষয়টি সমাধান করে দেওয়ার কথা বলে তাদের পৌর বাজারের একটি পরিত্যক্ত ভবনের দ্বিতীয় তলায় নিয়ে যায়। সেখানে হানিফদের সঙ্গে আরও ৪ থেকে ৫ জন যুক্ত হয়ে তার স্বামীকে একটি কক্ষে ও তাকে আরেকটি কক্ষে নিয়ে যায়। পরে বিষয়টি মোবাইলে স্বামী তার মা ও ছোট ভাইকে জানালে ঘটনাস্থলে আসেন। এসময় দ্বিতীয় তলার সিঁড়ির নিচে থাকা আরও কয়েকজন তার মা ও ছোট ভাইকে একই কক্ষে আটক করে রাখে। পরবর্তী সময়ে তারা পাশের কক্ষে ভুক্তভোগীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় এবং তার পরনের জামা-কাপড় ছিঁড়ে ফেলে। ধর্ষণের চেষ্টাকারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে ওই কক্ষ থেকে বের হয়ে দ্বিতীয় তলার ছাদ থেকে নিচে লাফ দিয়ে পড়েন।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে অভিযুক্ত দুজনকে আটক করেছে। ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে। অভিযুক্ত অন্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

















