গাজীপুরের শ্রীপুরের ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ মামুন আল মুজাহিদ ওরফে সুমনকে (৩৫) গ্রেফতারের পর পুলিশের ওপর কয়েক দফা হামলা চালিয়ে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে তার সহযোগীরা। তাদের হামলায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পাঁচ সদস্য আহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশের ব্যবহৃত দুটি গাড়ি ভাঙচুর করেছে তারা।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার শ্রীপুর-মাওনা সড়কের টেংরা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। ছিনিয়ে নেওয়া মামুন আল মুজাহিদ ওরফে সুমন বরমী ইউনিয়নের পাঠানটেক গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
হামলায় আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- জেলা ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম (৪০), শাফায়াত ওসমান (৩৪), এএসআই এমদাদুল হক খান (৩৭), শহিদুল ইসলাম (৩৮) ও এমদাদাদুল হক (৪৮)। তাদের শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আহত এএসআই শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গাজীপুর জেলা ডিবি পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাওরাইদ ইউনিয়নের নান্দিয়াসাংগুন এলাকার ত্রিমোহনী ব্রিজ থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী মুজাহিদ ওরফে সুমনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের খবর পেয়ে সুমনের সহযোগীরা প্রথমে বরমী এলাকায় হামলা চালিয়ে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে সাতখামাইর সিসিডিবি, টেংরা এলাকার ডিবারপার মোড়ে হামলা চালিয়ে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। শেষে শ্রীপুর-মাওনা সড়কের টেংরা মোড়ে পুলিশকে মারধর করে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বারিক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘জেলা ডিবি পুলিশ প্রথমে ত্রিমোহনী ব্রিজ এলাকা থেকে সন্ধ্যা ৭টার দিকে মুজাহিদ ওরফে সুমনকে গ্রেফতার করেছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ উপস্থিত হয়। সুমনকে নিয়ে আসার পথে তার সহযোগীরা কয়েক দফা হামলার পর ছিনিয়ে নেয়। তাদের হামলায় পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

















