Swadhin News Logo
শুক্রবার , ২৯ আগস্ট ২০২৫ | ১২ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. best
  2. cassinoBR
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও প্রকৃতি
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. চাকরি
  8. জাতীয়
  9. জোকস
  10. তথ্যপ্রযুক্তি
  11. দেশজুড়ে
  12. ধর্ম
  13. নারী ও শিশু
  14. প্রবাস
  15. বই থেকে

নানা সংকটে ব্যাহত চিকিৎসাসেবা

প্রতিবেদক
Nirob
আগস্ট ২৯, ২০২৫ ৮:০১ পূর্বাহ্ণ
নানা সংকটে ব্যাহত চিকিৎসাসেবা

২৫০ শয্যাবিশিষ্ট কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল জেলার ২০ লক্ষাধিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবার আশ্রয়স্থল।  চিকিৎসক, কর্মচারী ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম সংকটে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা। 

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, ১৭৭ জন চিকিৎসকের চাহিদা থাকলেও ১৮ জন দিয়ে চিকিৎসাসেবা চলছে। ফলে প্রায়ই রোগী ও স্বজনদের তোপের মুখে পড়ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। চিকিৎসক, জনবল ও প্রয়োজনীয় ওষুধের চাহিদা জানিয়ে বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত আবেদন দেওয়া হলেও কার্যকর কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। বছরের পর বছর সংকটের মধ্য দিয়ে চলছে। ফলে স্বাস্থ্যসেবায় গতি আসছে না।

হাসপাতালের প্রশাসনিক শাখার তথ্য অনুযায়ী, ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ৫০ শয্যার কুড়িগ্রাম হাসপাতালটি পরবর্তী সময়ে ১০০ শয্যায় উন্নীত হয়। ২০১৭ সালে এটিকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। কিন্তু ১০০ শয্যার মঞ্জুরিকৃত ৪৩ পদের বিপরীতে তত্ত্বাবধায়কসহ চিকিৎসক রয়েছেন ১৯ জন। অন্যান্য জনবলেরও সংকট।

চিকিৎসক সংকটে বিঘ্নিত স্বাস্থ্যসেবা

বহির্বিভাগসহ হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে চিকিৎসক ও জনবল সংকটের সত্যতা পাওয়া গেছে। সংকট মোকাবিলায় মজুরি ভিত্তিতে নেওয়া উপসহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার দিয়ে সেবা দেওয়া হচ্ছে। এতে মাঝে-মধ্যে ‘ভুল চিকিৎসা’ কিংবা ‘চিকিৎসা অবহেলায়’ রোগী মৃত্যু অভিযোগ উঠছে। চিকিৎসক সংকটে বহির্বিভাগে রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম রীতিমতো খাচ্ছেন দায়িত্বরত চিকিৎসকরা।

আর ভর্তি রোগীদের বিড়ম্বনা আরও বেশি। তারা বলছেন, সারা দিনে মাত্র একবার চিকিৎসকের দেখা মেলে। দুপুরের পর হাসপাতালে কোনও রোগী ভর্তি হলে তার শুধু একবারের জন্য জরুরি বিভাগের চিকিৎসকের সেবা মেলে। পরদিন সকালের আগে ওয়ার্ডে আর কোনও চিকিৎসক পাওয়া যায় না। কোনও স্বাস্থ্য পরীক্ষা দিলে তার রিপোর্ট দেখাতে হয় পরদিন। ফলে চিকিৎসা পেতে অনেক রোগীকে ভর্তির পর ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। এ ছাড়া প্রায়ই সময় রোগীদের মেলে না ওষুধ ও স্যালাইন। বাইরে থেকে ওষুধ ও স্যালাইন কিনে চিকিৎসা শুরু করতে হয়। পাশাপাশি ওয়ার্ডের শয্যা সংকট, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও শৌচাগার নিয়েও ক্ষোভ আছে রোগীদের।  

হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি আনিছুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘রোগাক্রান্ত হয়ে গত বৃহস্পতিবার বিকালে ভর্তি হয়েছি। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ব্যবস্থাপত্র দেওয়ার পর আর ডাক্তারের দেখা মেলেনি।’ 

একই অভিযোগ সার্জারি ও কার্ডিওলজি বিভাগে ভর্তি রোগীদের। গাইনি বিভাগে ভর্তি রোগী আমিনা বলেন, ‘তলপেটে তীব্র ব্যথা নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে আসি। জরুরি বিভাগের ডাক্তার দেখে ভর্তি করান। কিন্তু রাতভর কোনও গাইনি ডাক্তারের দেখা পাইনি। পরে বাধ্য হয়ে প্রাইভেট চেম্বারে গিয়ে ডাক্তার দেখিয়ে চিকিৎসা নিয়েছি।’

হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে এই রোগী বলেন, ‘ওয়ার্ডে সবসময় দুর্গন্ধ থাকে। টয়লেটে যাওয়া যায় না। সিঁড়ি থেকে শুরু করে বারান্দা ও রুমের ভেতরও ময়লা-আবর্জনা।’

১৭৭ জন চিকিৎসকের বিপরীতে ১৮ জন

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, ২০২৪ সালের চাহিদা কাঠামো অনুযায়ী ২৫০ শয্যার হাসপাতালটিতে বর্তমানে চিকিৎসক প্রয়োজন ১৭৭ জন। কিন্তু দীর্ঘ নয় বছরেও এই জনবলের অনুমোদন মেলেনি। ১০০ শয্যার মঞ্জুরিকৃত ৪৩টি পদের বিপরীতে চিকিৎসক আছেন মাত্র ১৮ জন। মেডিসিন, সার্জারি, গাইনি এবং কার্ডিওলজি বিভাগের মতো অতিগুরুত্বপূর্ণ বিভাগে নেই কোনও সিনিয়র কনসালট্যান্ট। অ্যানেসথেটিস্ট ও অর্থো-সার্জারি ছাড়া সিনিয়র কনসালট্যান্টের আট পদ শূন্য। জুনিয়র কনসালট্যান্টের ১২টি পদের ছয়টি শূন্য। চিকিৎসক সংকটে হাসপাতালটি যখন ধুঁকছে তখন স্বাস্থ্যসেবার বেহাল চিত্র অনুমেয়।

তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সংকট

শুধু চিকিৎসক নন, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর সংকটও তীব্র। আয়া, ওয়ার্ডবয়, ক্লিনার আর সিকিউরিটি গার্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে প্রয়োজনীয় জনবল নেই। ১০০ শয্যার মঞ্জুরিকৃত তৃতীয় শ্রেণির ৫১টি পদের বিপরীতে আছেন মাত্র ১৭ জন। আর চতুর্থ শ্রেণির ২৯টি পদের বিপরীতে আছেন ১১ জন। ফলে হাসপাতালে আসা শত শত রোগীর প্রয়োজনীয় সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

সংকট নিরসনে উদ্যোগ

জনবল সংকটের কথা স্বীকার করে সদ্য যোগদানকারী হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. নুর নেওয়াজ আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘শুধু কুড়িগ্রাম নয়, সারা দেশের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসক সংকট। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে আমরা চাহিদা পাঠিয়েছি। শিগগিরই কিছু চিকিৎসক পেতে পারি। আর তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদগুলোতে আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

ওষুধ সংকট ও দুপুরের পর জরুরি বিভাগ ছাড়া চিকিৎসক না থাকা প্রসঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক বলেন, ‘রাতের বেলা সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা রাউন্ড দেবেন। আমি মিটিং করে ব্যবস্থা নেবো। আর ওষুধ সংকটের বিষয়ে চাহিদা পাঠানো হয়েছে। আশা করছি সেগুলো পেয়ে যাবো।’

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক

আপনার জন্য নির্বাচিত
আগে থেকেই ‘টিক’ দেয়া ব্যালট পাওয়ার অভিযোগ, যা বললেন চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা

আগে থেকেই ‘টিক’ দেয়া ব্যালট পাওয়ার অভিযোগ, যা বললেন চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা

ফ্রি দিলেও মানুষ মুজিব কোট নেবে না, ভয়েও কেউ পরে না: নুর

ফ্রি দিলেও মানুষ মুজিব কোট নেবে না, ভয়েও কেউ পরে না: নুর

নোবেল পাওয়ার জন্যই কী ক্ষ্যাপাটে ট্রাম্প?

নোবেল পাওয়ার জন্যই কী ক্ষ্যাপাটে ট্রাম্প?

হুতি প্রধানমন্ত্রী আহমেদ আল-রাহাভি নিহত

হুতি প্রধানমন্ত্রী আহমেদ আল-রাহাভি নিহত

চোরাইপথে মিয়ানমারে যাচ্ছে খাদ্য ও নিত্যপণ্য, বিনিময়ে আসছে মাদক

চোরাইপথে মিয়ানমারে যাচ্ছে খাদ্য ও নিত্যপণ্য, বিনিময়ে আসছে মাদক

হোয়াইট হাউসে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ স্বাক্ষর করলেন ট্রাম্প

হোয়াইট হাউসে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ স্বাক্ষর করলেন ট্রাম্প

গড়াই নদীর উপর শহীদ আবরার ফাহাদের নামে সেতুর দাবিতে সমাবেশ

গড়াই নদীর উপর শহীদ আবরার ফাহাদের নামে সেতুর দাবিতে সমাবেশ

রাজশাহীর পরিবেশ রক্ষার দাবিতে দুই উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি

রাজশাহীর পরিবেশ রক্ষার দাবিতে দুই উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি

বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের সব ইউনিট বন্ধ

বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের সব ইউনিট বন্ধ

নির্বাচনের জন্য সরকারকে সহায়তা করুন: পার্বত্য উপদেষ্টা

নির্বাচনের জন্য সরকারকে সহায়তা করুন: পার্বত্য উপদেষ্টা