মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ছয় জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুজন গুরুতর আহত হয়ে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি আছেন এবং বাকি চার জন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরেছেন।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন- বিএনপি নেতা লিটনের সমর্থক আমঝুপি গ্রামের আয়ুব আলী মাস্টারের ছেলে আমিনুল ইসলাম, মঞ্জুরুল হকের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। অপরদিকে, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলামের চার কর্মী আহত হয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তারা হলেন- রনি হেসেন, দেলোয়ার হোসেন, নাফিজ আহমেদ ও শাওন হোসেন। আহতরা সকলে আমঝুপি গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আমঝুপি কালিতলায় বিএনপি নেতা শফিকুল ইসলামের ছেলে নাফিজকে কেন্দ্র করেই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। অভিযোগ রয়েছে, প্রতিপক্ষ নাফিজের মোটরসাইকেলের চাবি ছিনিয়ে নিয়ে তাকে মারধর করে। এ ঘটনার পরপরই উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার একপর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তারা।
এ ঘটনায় দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে। বিএনপি নেতা লিটন বলেন, ‘প্রতিপক্ষ পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারের অংশ হিসেবেই এ হামলা হয়েছে।’
অন্যদিকে সাইফুল ইসলাম দাবি করেন, লিটনের লোকজন আগে থেকেই উসকানিমূলক আচরণ করে আসছিল। তারাই প্রথমে আমাদের কর্মীদের মারধর করে। এতে আমাদের কয়েকজন আহত হলেও তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
এ বিষয়ে মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যারা এ ঘটনায় জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনিব্যবস্থা নেওয়া হবে।’