এবার কয়েক দফা সমুদ্রে গিয়েও কাঙ্ক্ষিত ইলিশ পাননি জেলেরা। এতে হতাশ হলেও নতুন আশায় বুক বেধে আবার গভীর সমুদ্রে গেছেন তারা। এই দফায় ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ নিয়ে তীরে ফিরবেন এই আশা তাদের।
জানা গেছে, সপ্তাহ ধরে চলমান বৈরী আবহাওয়ার প্রভাব কেটেছে গত রবিবার (২৪ আগস্ট)। সোমবার (২৫ আগস্ট) সকাল থেকে সমুদ্রে যাওয়া শুরু করেছেন জেলেরা।
এর আগে ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে দফায় দফায় উত্তাল সমুদ্র ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে ভরা মৌসুমেও আশানুরূপ ইলিশ শিকার করতে পারেনি মৎস্যজীবীরা। এক কথায় বলা যায়, সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেও ‘প্রাকৃতিক নিষেধাজ্ঞায়’ মাছ ধরা সম্ভব হয়নি! ইলিশের ভরা মৌসুমে আশানুরূপ মাছ ধরতে না পেরে হতাশ তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে গত ১৭ আগস্ট শেষ বিকাল থেকে সমুদ্র উত্তাল হয়ে ওঠে। প্রচণ্ড ঢেউয়ে সমুদ্রে টিকতে না ট্রলারগুলো উপকূলের বিভিন্ন নদ-নদীতে নিরাপদ আশ্রয় নেয়। দেশের অন্যতম মৎস্য বন্দর আলীপুর-মহিপুররের খাপড়াভাঙ্গা নদীতে নোঙর করে নিরাপদে ছিল দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কয়েক হাজার ট্রলার। সপ্তাহ ধরে টানা বৃষ্টি ও ধমকা হাওয়ায় জেলেরা মাছ ধরা ট্রলারসহ উপকূলে নিরাপদে অলস সময় পার করছেন। সোমবার সকাল থেকে ট্রলারগুলো গভীর সমুদ্রে ইলিশের সন্ধানে ছুটে চলেছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছেন, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে গত কয়েকদিন আবহাওয়া খারাপ ছিল। এখন আবহাওয়া মোটামুটি ভালো আছে।
সমুদ্রে যাওয়ার সময় কথা হয় এফ বি তামান্না ট্রলারের মাঝি ইউনুচ মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে কয়েক দফা বৈরী আবহাওয়ার ও সাগর উত্তাল থাকার কারণে ঘাটে ঘিরে এসেছিলাম। সপ্তাহখানেক ঘাটে থেকে এখন আবার যাচ্ছি। মাছ পেলে তো ভালো না পেলে জেলেদের (স্টাফ) ধরে রাখাই মুশকিল হবে।
ট্রলিং ট্রলারের মাঝি একলাছ গাজী বলেন, প্রশাসনের কড়া নজরদারির কারণে সমুদ্রে যাচ্ছি না। মালিক অন্য জাল দিতে পারছেন না। তাই ঘাটে বসে আছি। তবে কয়েকটি ট্রলিং ট্রলার লম্বা জাল নিয়ে সমুদ্রে গেছে।
ট্রলার মালিক আবুল কাশেম বলেন, প্রায় সপ্তাহখানেক ট্রলার ঘাটে ছিল। শেষ পর্যন্ত ট্রলার সমুদ্রে পাঠিয়েছি। আশা করছি, ভালো মাছ নিয়ে ঘাটে ফিরবে।
কলাপাড়া উপজেলা ফিশিং ট্রলার মাঝি সমবায় সমিতির সভাপতি রুহুল আমিন মাঝি বলেন, উপকূলের সব ট্রলার এখন সমুদ্রে গেছে। আশা করছি, মাছ পাবে।
কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, কয়েকদিনের টানা বৈরী আবহাওয়ার কারণে জেলেরা সমুদ্রে যেতে পারেনি। এখন আবহাওয়া সমুদ্রে মাছ ধরার উপযোগী থাকায় জেলেরা গভীর সমুদ্রে চলে গেছে। আশা করা যায় জেলেরা মাছ পাবেন।

















