সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবক আব্দুর রহমানের মরদেহ ফেরত দেয়নি বিএসএফ। বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে তিন দফা পতাকা বৈঠক হলেও মরদেহ ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে কোনও সমাধান হয়নি। শনিবার (৩০ আগস্ট) রাতে এ পতাকা বৈঠক বসেন তারা।
সূত্র জানায়, নিহত আব্দুর রহমানের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হেফাজতে নিয়েছে তারা। ময়নাতদন্ত শেষে সকল আইনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে কূটনৈতিকভাবে নিহত যুবকের মরদেহ ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
রবিবার (৩১ আগস্ট) সন্ধ্যায় কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আউয়াল এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ গ্রহণের জন্য পুলিশ সীমান্তে অবস্থান নিলেও বিএসএফ তা ফেরত না দেওয়ায় ফিরে আসতে বাধ্য হন তারা। ভারতে ওই যুবকের ময়নাতদন্ত শেষে হওয়ার পর তারা মরদেহ আইনিভাবে হস্তান্তর করবে। এর আগে শনিবার রাতে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক হলেও মরদেহ দেওয়ার বিষয়ে কোনও সুরাহা হয়নি।
জানা গেছে, শুক্রবার (২৯ আগস্ট) দুপুর আনুমানিক ১টার দিকে কানাইঘাট বড়চাতল পূর্ব গ্রামের মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে আব্দুর রহমান ভারতীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মহিষ কিনে তার কয়েকজন সহযোগীর সঙ্গে বাংলাদেশে ফিরছিলেন। সে সময় আন্তর্জাতিক পিলারের মধ্যবর্তী স্থানে ভারতের প্রায় ৩০০ গজ ভেতরে প্রবেশ করলে হঠাৎ করেই বিএসএফ সদস্যরা তাদের দিকে গুলি চালায়। গুলিতে ঘটনাস্থলেই মারা যান আব্দুর রহমান। তার সঙ্গে থাকা আরও তিন থেকে চার জন আহত অবস্থায় বাংলাদেশে ফিরে আসেন।