চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার চাঞ্চল্যকর আবদুল্লাহ আল মনির প্রকাশ পিন্টু হত্যা মামলার ‘মূল হোতা’ মো. দেলোয়ার হোসেন দিলুসহ চার জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭।
র্যাব-৭-এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এ আর এম মোজাফফর হোসেন জানান, রবিবার (৩১ আগস্ট) রাতে র্যাব-৭-এর একটি দল মহানগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন হিলভিউ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এতে হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা স্থানীয় সন্ত্রাসী ও মামলার প্রধান আসামি দেলোয়ার হোসেন দিলু (৩৬), হাসান প্রকাশ কিরিচ হাসানকে (৩০) গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃতদের দেওয়া তথ্যে অপর একটি দল মহানগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন আলীনগর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মোহাম্মদ শাহিন (২৮) এবং মো. মোবারক হোসেন বাপ্পিকে (৩৬) গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে, গত ৩০ আগস্ট নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন হিলভিউ এলাকায় পূর্বশত্রুতার জেরে আবদুল্লাহ আল মনির প্রকাশ পিন্টু নামে একজন পথচারীকে চার থেকে পাঁচ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ ছুরিকাঘাত করে। গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে রাস্তায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন ভিকটিমকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। উক্ত হত্যাকাণ্ডটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানায় ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪ থেকে ৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
র্যাব জানিয়েছে, গ্রেফতার আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, নিহত আবদুল্লাহ আল মনির ওরফে পিন্টুর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া। তিনি চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন হিলভিউ বার্মা কলোনিতে শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করতেন। নগরের পাঁচলাইশ থানাধীন হামজারবাগ এলাকায় একটি থাই দোকানে মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতেন। সন্ত্রাসী দেলোয়ার হোসেন দিলুর সঙ্গে তার এলাকায় কাজ করা এবং আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই প্রেক্ষিতে গত ৩০ আগস্ট রাতে কাজ শেষে বাসায় ফেরার সময় দেলোয়ার হোসেন দিলু এবং তার অন্যান্য সহযোগীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন আলীনগর এলাকায় পিন্টুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রামে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

















