গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে টাকার লোভ দেখিয়ে সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাকিম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি বলেন, ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দিলে থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। এ বিষয়ে ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।’
নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীর স্বজন ও স্থানীয়দের অভিযোগ, গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে খাওয়াদাওয়া শেষে নিজ বাড়িতে একাই একটি আলাদা রুমে শুয়ে পড়েন ওই শিক্ষার্থী। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে দক্ষিণ ধুমাইটারী গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে সজিব মিয়া (২০) ওই মেয়ের শয়নকক্ষের জানালার কাছে আসে এবং ডাকতে থাকে। এ সময় শিক্ষার্থীকে ৫ হাজার টাকার প্রলোভন দেখালে সে দরজা খুলে বাইরে বের হয়। পরে সজিব মেয়েটিকে জনৈক চিটু বাবু মাস্টারের বাঁশঝাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে মেয়েটি আরও দুজন ব্যক্তিকে দেখতে পায় এবং ভয়ে চিৎকার করে। তখন তারা তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। এরপর দুজন পালিয়ে যায় এবং মেয়েটিকে সজিব তার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে দিনভর আপস-মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। নিরুপায় হয়ে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দিলে থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে।
পালিয়ে যাওয়া বাকি দুজন হলো- একই ইউনিয়নের দক্ষিণ ধুমাইটারী গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে সোহেল রানা (২০) ও মোহাম্মদ আলীর ছেলে নাহিদ মিয়া (২৫)।
এ ঘটনায় স্বজন ও এলাকাবাসী অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে তাদের কঠোর শাস্তির দাবি করেন।

 
         
                    






 
                                     
                                     
                                    








