রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলের মরদেহ কবর থেকে তুলে আগুনে পোড়ানো, তার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজবাড়ী জেলা জামায়াতের আমির অ্যাড. মো. নুরুল ইসলাম।
ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘সর্বদলীয় ও সর্বমহলের ইমান-আকিদাহ সংরক্ষণ কমিটির পক্ষ থেকে গত ৪ সেপ্টেম্বর বিকালে জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় গোয়ালন্দ উপজেলায় কোনও মিছিল হবে না। গোয়ালন্দ উপজেলায় শুধু সমাবেশ হবে। জেলা ইমান-আকিদাহ রক্ষা কমিটির সভাপতি মাওলানা মো. ইলিয়াস মোল্লা গোয়ালন্দ উপজেলা কমিটির সভাপতিকে বিষয়টি জানিয়ে দেন। তিনি নিজে ঘটনাস্থল (নুরাল পাগলের বাড়ি) পরিদর্শন করেন এবং সেখানে মাটি সমতলে আনার বিষয়টি দেখতে পান।’
তিনি আরও বলেন, ‘উপস্থিত সাংবাদিকগণ আমাকে ঘটনার বিষয়ে প্রশ্ন করলে আমি তাদের উত্তরে জানাই, লাশ নামিয়ে সমতলে আনার কারণে গোয়ালন্দ উপজেলায় শুধু সমাবেশ হবে, মিছিল হবে না। ব্যক্তিগতভাবে বিএনপির দুই গ্রুপের সঙ্গে এবং গোয়ালন্দ উপজেলা ইমান-আকিদাহ রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক মাওলানা মো. জালাল উদ্দিন প্রামাণিক, সদস্য কে মোহিত হীরা, কাশেম মণ্ডল মিছিল না করার সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানান। তারা আমাকে আশ্বস্ত করে বলেন, তারা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন এবং পরবর্তীতে আমাকে জানাবেন।’
তিনি বলেন, ‘কিন্তু সেখানে মিছিল হবে সেটা আমার জানা ছিল না। আমার সব বক্তব্য লাইভ আকারে প্রকাশিত আছে। আমি যা বলেছি, মিডিয়ার সামনেই বলেছি। তবে এ ঘটনায় আমি দুঃখিত, মর্মাহত। এ ঘটনাটি অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। মরদেহ মাটি থেকে তুলে পোড়ানো আমার জীবনে আমি কখনও শুনিনি। এই ঘটনাকে আমি ধিক্কার জানাই। কোনও মানুষের লাশ পোড়ানো বা বাড়িঘর লুট করা সম্পূর্ণ অন্যায় ও অমানবিক।’
জেলা জামায়াত আমির বলেন, ‘নুরাল পাগলের এই ঘটনার সঙ্গে আমাকে জড়ানো এবং প্রশ্নবিদ্ধ করা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’













