Swadhin News Logo
সোমবার , ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ১২ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. best
  2. cassinoBR
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও প্রকৃতি
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. চাকরি
  8. জাতীয়
  9. জোকস
  10. তথ্যপ্রযুক্তি
  11. দেশজুড়ে
  12. ধর্ম
  13. নারী ও শিশু
  14. প্রবাস
  15. বই থেকে

দাবি আদায়ে লিখিত প্রস্তাবনা দিলেন বাকৃবির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা

প্রতিবেদক
Nirob
সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৫ ৭:৩৪ অপরাহ্ণ
দাবি আদায়ে লিখিত প্রস্তাবনা দিলেন বাকৃবির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) চলমান অবস্থা নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আবারও বৈঠকে বসেছে। তবে এবার লিখিত প্রস্তাবনা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বৈঠকের পর আন্দোলনরত পশুপালন অনুষদ ও ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে প্রস্তাবনা দেওয়া হয়।

প্রস্তাবনাগুলো হলো- ১.১. আসন সংখ্যা B.Sc. Vet Sc And AH- ২০০, B.Sc. AH- ২৫, DVM ২৫ করার পক্ষে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

১.২. চলমান ব্যাচসমূহের জন্য লেভেল ভিত্তিক পৃথক সিলেবাস প্রণয়ন করে শিক্ষার্থীদের কম্বাইন্ড ডিগ্রির আওতায় আনবে যা BVC সনদ পেতে কোনও সমস্যা সৃষ্টি করবে না।

১.৩. টেকনিক্যাল কমিটি ২০ কার্যদিবসের মধ্যে সম্পূর্ণ কম্বাইন্ড কোর্স কারিকুলামের সিলেবাস প্রণয়ন করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করবে।

২. গত ৩১ আগস্ট রাতে ক্যাম্পাসে বহিরাগত হামলার ঘটনার দায় স্বীকার করে প্রশাসন ক্ষমা চাইবে এবং ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বহিরাগতদের অবাধ বিচরণ নিয়ন্ত্রণ, প্রতিটি প্রবেশপথে নিরাপত্তা চেকপোস্টসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রহণ করবে।

৩. আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী কোনও শিক্ষার্থীকে একাডেমিক কিংবা প্রশাসনিক শাস্তি বা জটিলতার সম্মুখীন করা হবে না এই মর্মে লিখিত বিবৃতি প্রদান করবে।

৪. বহিরাগত হামলার ঘটনায় তদন্ত কমিটি আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট প্রদান করবে এবং স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় বহিরাগতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনবে।

৫. হামলার সঙ্গে জড়িত শিক্ষকদের শিক্ষকতার বাইরে অতিরিক্ত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করবে।

৬. অতি দ্রুত হল ভ্যাকেন্সির নোটিশ প্রত্যাহার করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে একডেমিক কার্যক্রম পুনরায় চালু করবে।

শিক্ষার্থীরা জানান, শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জমা দেওয়া হয়েছে। যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে আন্দোলন শেষ করার সময় হয়েছে। দাবিগুলো মেনে নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হবে বলে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা।

শিক্ষার্থী আবু বকর সিদ্দিক বলেন, আমরা চাই, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হচ্ছে।

গত ৩১ আগস্ট সকাল ৯টা থেকে ভেটেরিনারি ও পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনের আশেপাশে জড়ো হতে থাকেন। শিক্ষার্থীদের একটাই দাবি ছিল- ‘এক পেশায় এক ডিগ্রি, কম্বাইন্ড ডিগ্রি’। বেলা ১১টায় একই মিলনায়তনে কম্বাইন্ড ডিগ্রি ইস্যু নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভা শুরু হয়। একাডেমিক কাউন্সিলে সিদ্ধান্ত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএসসি ইন অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি, ডক্টর অফ ভেটেরিনারি মেডিসিন এবং দুই অনুষদের সমন্বয়ে কম্বাইন্ড ডিগ্রি; এই তিনটি ডিগ্রিই থাকবে। তবে শিক্ষার্থীরা তিন ডিগ্রি মেনে নেয়নি। ফলশ্রুতিতে দুপুর দেড়টার দিকে একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত আশানুরূপ না হওয়ায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষককে একত্রে অবরুদ্ধ করে তালা লাগিয়ে দেন।

এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ আড়াই শতাধিক শিক্ষক অবরুদ্ধ হন। শিক্ষকদের প্রায় ৭ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখার পর বহিরাগতদের একটি মিছিল লাঠিসোঁটা নিয়ে ধাওয়া দিলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা কিছুটা পিছু হটে। বহিরাগতরা হামলা চালিয়ে ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিসহ ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। হামলা চলাকালে ক্যাম্পাসের শিল্পাচার্য জয়নাল আবেদীন মিলনায়তনে অবরুদ্ধ শিক্ষক ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা দরজা দিয়ে নিরাপদে সরে যান। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বহিরাগতদের হামলায় হামলায় এক নারী শিক্ষার্থীসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। রাত সাড়ে ৯টায় অনলাইনে অনুষ্ঠিত জরুরি সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক অনির্দিষ্টকালের জন‍্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সব ছাত্র-ছাত্রীদের পরদিন ১ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ প্রদান করা হয়। হল ত্যাগের নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করে সকাল থেকেই লাঠিসোঁটা হাতে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘রাজপথ ছাড়ি নাই’, ‘রাজপথ ছাড়বো না’, ‘প্রশাসনের গদিতে আগুন জ্বালো একসঙ্গে’সহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন। বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় সংবাদ সম্মেলনে ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে এ দিন দুপুর পর্যন্ত কোনও আশ্বাস না পাওয়ায় আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা বিকাল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় জব্বারের মোড়ে রেলপথ অবরোধ করলে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় শিক্ষার্থীরা রেলপথ অবরোধ থেকে সরে গেলে দুই ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

পরদিন ২ সেপ্টেম্বর বেলা ১২টায় জব্বারের মোড়ে আবারও রেলপথ অবরোধ করলে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রেলপথে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীদের একটি অংশ মিছিল নিয়ে গিয়ে বাকৃবির ট্রেজারি ভবন ও পূবালী ব্যাংকে তালা লাগিয়ে দেয়। এ দিন সন্ধ্যায় বাকৃবি প্রশাসন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে এমন আশ্বাসের পর বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে রেলপথ থেকে সরে যান শিক্ষার্থীরা। এরপর ঢাকা-ময়মনসিংহে আবারও ট্রেন চলাচল শুরু হয়।

এ দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আলোচনা শুরু হয়ে শেষ হয় রাত সাড়ে ১১টায়। সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। সভায় শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবির মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো খালি করার পূর্বের নির্দেশ ৩ সেপ্টেম্বর সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে প্রত্যাহার করাসহ হলগুলোতে চলমান সব ধরনের সুবিধা নিরবচ্ছিন্ন রাখা হবে বলে জানানো হয়।

বলা হয়, তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দেওয়ার পর পুরো ঘটনায় জড়িত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের প্রধান দাবি পশুপালন ও ভেটেরিনারি অনুষদকে একীভূত করে কম্বাইন্ড ডিগ্রির বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আরও আলোচনা করে পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কিন্তু ২ সেপ্টেম্বর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনায় যেসব সিদ্ধান্ত ও দাবিতে প্রশাসন একমত হয়েছিলেন, সেগুলো শিক্ষার্থীদের লিখিত আকারে সিন্ডিকেটে উত্থাপন করতে বলে বাকৃবি প্রশাসন। কিন্তু সেই লিখিত পত্রে স্বাক্ষর করেননি শিক্ষার্থীরা। এমতাবস্থায় ৩ সেপ্টেম্বরের সিন্ডিকেট সভা না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা রয়ে যায়।

৪ সেপ্টেম্বর বিকালে মাথায় লাল কাপড় পেঁচিয়ে ‘রেড মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলা থেকে মৌন মিছিলটি শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের করিডর প্রদক্ষিণ শেষে সমাবর্তন মাঠে এসে শেষ হয়। পরে সবাই একত্রিত হয়ে চোখ বেঁধে আইন, প্রশাসন, সিন্ডিকেটসহ বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি মৌন প্রতিবাদ ব্যক্ত করেন।

এ সময় শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, বহিরাগতদের হামলায় রক্তাক্ত হয়েছে ক্যাম্পাস। যেখানে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা উচিত ছিল, সেখানে প্রশাসন ও শিক্ষকরা নীরব। যা ব্যথিত করেছে শিক্ষার্থীদের। এ হামলা শুধু ইট-পাথরের ওপর নয়, এটি শিক্ষার্থীদের অস্তিত্ব, স্বপ্ন ও নিরাপত্তার ওপর সরাসরি আঘাত।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক

আপনার জন্য নির্বাচিত
গোপালগঞ্জে সহিংসতার ঘটনার অনুসন্ধানে আসক

গোপালগঞ্জে সহিংসতার ঘটনার অনুসন্ধানে আসক

হাসপাতালে নারী রোগীকে যৌন হয়রানি, তিন কর্মী গ্রেফতার

হাসপাতালে নারী রোগীকে যৌন হয়রানি, তিন কর্মী গ্রেফতার

খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার

খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন চান কোটা সংস্কারে রিটকারী আবদুল অদুদ

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন চান কোটা সংস্কারে রিটকারী আবদুল অদুদ

বোনের জন্য ওষুধ কিনতে যাওয়ার পথে প্রাণ গেলো তরুণের

বোনের জন্য ওষুধ কিনতে যাওয়ার পথে প্রাণ গেলো তরুণের

শপথ নিলেন চাকসু নেতারা, ফেসবুক পোস্টের জেরে ছিলেন না শিবির প্যানেলের একজন

শপথ নিলেন চাকসু নেতারা, ফেসবুক পোস্টের জেরে ছিলেন না শিবির প্যানেলের একজন

বেনাপোল বন্দরে ভারতীয় ট্রাকে পাওয়া গেলো পিস্তল ও গুলি

বেনাপোল বন্দরে ভারতীয় ট্রাকে পাওয়া গেলো পিস্তল ও গুলি

‘জুলাই বিশেষ ট্রেন’ নিয়ে অসন্তোষ-বিক্ষোভ, ছাড়লো এক ঘণ্টা দেরিতে

‘জুলাই বিশেষ ট্রেন’ নিয়ে অসন্তোষ-বিক্ষোভ, ছাড়লো এক ঘণ্টা দেরিতে

সুন্দরবনে কীটনাশক দিয়ে মাছ ধরার সময় ৬ জেলে গ্রেফতার

সুন্দরবনে কীটনাশক দিয়ে মাছ ধরার সময় ৬ জেলে গ্রেফতার

ইসরায়েলের সমালোচনা করায় জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধির ওপর নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের

ইসরায়েলের সমালোচনা করায় জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধির ওপর নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের