বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, ‘একটি নির্দলীয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেহেতু দায়িত্বে আছে, আমরা আশা করছি দল মত নির্বিশেষে যারাই প্রার্থী হবে, ভোট দিতে যাবেন, প্রচারণা চালাবেন, সবাই সমান সুযোগ পাবেন, ভোট হবে নিরপেক্ষ।’
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল উপজেলা চুন্টা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গ্রামবাসী আয়োজিত লাঠি খেলা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
রুমিন ফারহানা বলেন, ‘আমি আশা করছি, গত ১৫ বছর ভোটের যে কবর রচনা হয়েছিল, সেই সংস্কৃতি থেকে বাংলাদেশ বের হয়ে এসে একটা নতুন গণতন্ত্রের পথে বাংলাদেশ তার যাত্রা শুরু করবে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে টেনে তিনি বলেন, ‘সংস্কারের বিষয়টি বাংলাদেশে প্রথম উচ্চারিত হয়েছে বিএনপির হাত দিয়ে।’
বিএনপি নেত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন, খালেদা জিয়া ভিশন ২০৩০ একটা ডকুমেন্ট দিয়েছিলেন সেখানে তিনি তার সংস্কার ভাবনা, সর্বপ্রথম ২০১৬ সালে তুলে ধরেন। তারপর বিএনপি ২৭ দফা, ৩১ দফা সব কিছুই সংস্কারের অংশ। আর বিচারে কথা যদি বলি, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের হাতে বিএনপির নেতাকর্মী থেকে শুরু করে একেবারেই তৃণমূলের সমর্থক পর্যন্ত যেভাবে অত্যাচারিত হয়েছে আর কোনও দলের মানুষ কিন্তু এত অত্যাচারের শিকার হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘সুতরাং বিচার বিএনপির হাত ধরেই যতটা সুষ্ঠু সঠিক হবে, আমি মনে করি না আর কোনও সরকারের পক্ষে এতটা সুষ্ঠু এবং সঠিক বিচার করা সম্ভব হবে।’
অনুষ্ঠানে গ্রামবাসীসহ বিএনপি অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

















