রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার দরবারে হামলায় রাসেল মোল্লা (২৮) নিহতের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে নিহতের বাবা আজাদ মোল্লা বাদী হয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি হত্যাসহ অগ্নিসংযোগ, লাশ পোড়ানো, চুরি, ক্ষতিসাধন, জখমের অভিযোগে মামলা করেন।
মামলায় ৩৫০০ থেকে ৪০০০ জনকে অজ্ঞাত নামা আসামি করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) শরিফ আল রাজিব।
নিহত রাসেল মোল্লা গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের তেনাপচা গ্রামের আজাদ মোল্লার ছেলে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার নুরাল পাগলার দরবারে প্রবেশ করেন তার ভক্ত রাসেল। শুক্রবার দরবারে হামলা ও ভাঙচুরের সময় নুরালের ভক্ত জেনে রাসেলের ওপর হামলা করা হয়। তাকে উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার ওপর হামলা করা হয়। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হলে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মৃত্যু হয়।
রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজিব বলেন, গোয়ালন্দ থানায় নিহত রাসেল হত্যার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ আগস্ট (শনিবার) বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যায় নুরাল পাগলা। ওই দিন রাতে দরবারের ভেতরে ১২ ফুট উঁচু করে দাফন করা হয়। বিষয়টি শরিয়ত পরিপন্থি বলে অভিযোগ তোলেন ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটি। গত শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটির পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে বিক্ষুব্ধ জনতা নুরাল পাগলার দরবারে হামলা, ভাঙচুর চালায়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের হামলার প্রায় অর্ধশত ব্যক্তি আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশের দুটি গাড়ি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়ি ভাঙচুর করেন। সংঘর্ষের ঘটনায় মারা যান রাসেল। পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় গোয়ালন্দ ঘাট থানার এসআই সেলিম মোল্লা বাদী হয়ে ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেই মামলায় সোমবার রাত পর্যন্ত মোট ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

















