ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে ও পুনর্বহালের দাবিতে দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশদ্বার ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের ভাঙ্গা গোলচত্বরসহ দুটি মহাসড়কে অবরোধের কারণে তীব্র জনভোগান্তি দেখা দিয়েছে।
দাবি আদায়ে নির্ধারিত সময় পার হওয়ায় পুনরায় মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। এক্সপ্রেসওয়ের ভাঙ্গা গোলচত্বর, ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ৭টি স্থানে সড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে, গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি ফেলে ও বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে বিক্ষোভ করছেন। এতে দক্ষিণবঙ্গে চলাচলরত ২১ জেলার সব যানবাহন বন্ধ হয়ে পড়েছে। বিকাল ৪টা পর্যন্ত আন্দোলন চলমান থাকলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি।
পায়ে হেঁটে অবরোধস্থলে চলাচল করতে হচ্ছে। বিশেষ করে, জরুরি কাজে বের হওয়া যাত্রীরা এমন ভোগান্তিতে পড়েছেন। এ ছাড়া সকাল থেকে আটকে রয়েছে কয়েক হাজার যানবাহন। খাদ্যকষ্টের মুখে রয়েছে মালবাহী লরি ও ট্রাকচালকরা।
ঢাকা থেকে পরিবারের পাঁচ সদস্য নিয়ে পায়ে হেঁটে যেতে দেখা যায় একটি পরিবারকে। তাদের সঙ্গে লাগেজ ও দুজন শিশু রয়েছেন। জানতে চাইলে পুরুষ সদস্য হাবিবুর রহমান জানান, প্রায় ১৫ কিলোমিটার পথ ভোগান্তি পাড়ি দিয়েছেন পায়ে হেঁটে ও ভ্যানে করে। অবরোধ করা এলাকায় পায়ে হেঁটে যেতে হচ্ছে।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘মানুষকে ভোগান্তি দিয়ে আন্দোলনের কোনও মানে হয় না।’
প্রসঙ্গত, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত ৪৬টি সংসদীয় আসনে পরিবর্তন এনে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। গেজেট অনুযায়ী ফরিদপুরের দুটি সংসদীয় আসনের সীমানা পুননির্ধারণ করা হয়েছে। ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর ৪-এর অন্তর্গত ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন পাশের নগরকান্দা উপজেলার সঙ্গে অর্থাৎ ফরিদপুর-২ সংসদীয় আসনের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এরপরেই ক্ষোভে ফুসে ওঠে স্থানীয়রা।













