Swadhin News Logo
মঙ্গলবার , ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ১২ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. best
  2. cassinoBR
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও প্রকৃতি
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. চাকরি
  8. জাতীয়
  9. জোকস
  10. তথ্যপ্রযুক্তি
  11. দেশজুড়ে
  12. ধর্ম
  13. নারী ও শিশু
  14. প্রবাস
  15. বই থেকে

নুরাল পাগলার মরদেহ কবর থেকে তোলার ‘নির্দেশদাতা’ গ্রেফতার

প্রতিবেদক
Nirob
সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৫ ৭:২১ অপরাহ্ণ
নুরাল পাগলার মরদেহ কবর থেকে তোলার ‘নির্দেশদাতা’ গ্রেফতার

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার মরদেহ কবর থেকে তোলার ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে মরদেহ কবর থেকে তোলার ‌‘নির্দেশদাতা’ বলছে পুলিশ।

গ্রেফতার ব্যক্তির নাম আব্দুল ল‌তিফ (৩৫)। তিনি গোয়ালন্দ পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড জুড়ান মোল্লারপাড়ার বায়তুল মুকাদ্দাস জামে মসজিদের ইমাম এবং মা‌নিকগ‌ঞ্জের ঘিওর উপ‌জেলার বড় ঠাকুরকা‌ন্দির মাওলানা বাহাউদ্দিনের ছেলে। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দি‌কে রাজবাড়ীর অতি‌রিক্ত পু‌লিশ সুপার শরীফ আল রাজীব তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নি‌শ্চিত করেছেন।

অতি‌রিক্ত পু‌লিশ সুপার বলেন, ‘পু‌লিশের ওপর হামলা ও গা‌ড়ি ভাঙচুর মামলায় গ্রেফতার আসামি অপু কাজীর দেওয়া ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে আব্দুল লতিফের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। তার নির্দেশে কবর থেকে মরদেহ তোলা হয়েছে। অভিযান চা‌লিয়ে তাকে মা‌নিকগঞ্জ থে‌কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।’

শরীফ আল রাজীব বলেন, ‘আব্দুল ল‌তিফ নুরাল পাগলার দরবারে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও কবর থেকে মরদেহ তুলে নিয়ে পোড়ানোর ঘটনায় করা মামলার আসামি। এ মামলায় এখন পর্যন্ত দুই জনকে গ্রেফতার করা হ‌য়ে‌ছে। বাকিদের শনাক্ত করে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। এ ছাড়া পু‌লি‌শের ওপর হামলা ও গা‌ড়ি ভাঙচুরের মামলায় এখন পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একই মামলায় অভি মন্ডল রঞ্জু (২৯) নামে আরেকজনকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি গোয়ালন্দের আলম চৌধুরী পাড়ার বিল্লাল মন্ডলের ছেলে।’

এদিকে সোমবার রাতে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় নুরাল পাগলার ভক্ত নিহত রাসেল মোল্লার বাবা আজাদ মোল্লা বা‌দী হয়ে অজ্ঞাতনামা সাড়ে তিন থেকে চার হাজার জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দফায় দফায় নুরাল পাগলার দরবার ও বাড়িতে হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা শরিয়ত পরিপন্থিভাবে দাফনের অভিযোগ তুলে নুরাল পাগলার মরদেহ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দেয়। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় নুরাল পাগলার দরবার ও বাড়ি। উপজেলা ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটির পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে একদল লোকের এ হামলায় ১০ থেকে ১২ জন পুলিশ সদসসহ অন্তত অর্ধশত ব্যক্তি আহত হন। পুলিশের দুটি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। হামলায় আহত হয়ে মারা যান রাসেল নামের নুরাল পাগলার এক ভক্ত।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক