বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, ‘ডাকসু নির্বাচন হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক নির্বাচন। আর জাতীয় নির্বাচন হচ্ছে বড় একটি বিষয়। জাতীয় নির্বাচনের সময় কেবল দেশের মানুষের নজর ধাকবে তা নয়, আন্তর্জাতিক নজরও বাংলাদেশের দিকে থাকবে।’
তিনি আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহজাদাপুরে সড়ক ও সেতু নির্মাণকাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
এ সময় সাংবাদিকদের রুমিন বলেন, ‘দীর্ঘ ১৭ বছর পর বাংলাদেশে একটি নির্বাচন হতে যাচ্ছে। আমরা আশা করছি, নির্বাচনটি সবার জন্য অবাধ এবং সুষ্ঠু হবে। সবাই তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সমান সুযোগ পাবেন। প্রচারণায় সমান সুযোগ পাবেন। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকবে।’
আসন্ন সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘আমি আমার নির্বাচনি কাজ শুরু করে দিয়েছি। আমি আশা করি, যারা যারা প্রার্থী হয়েছেন, আগামী নির্বাচনে প্রত্যেকেই যেন তার এলাকায় কাজ শুরু করে দেন। কারণ, এখন থেকে যদি আমরা কাজ করতে থাকি, তাহলে নির্বাচনের আগে মানুষের যে জনপ্রিয়তা, মানুষের যে ভালোবাসা, মানুষের যে সমর্থন– সেটাই ভোটের মাঠে আসল ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করবে। তখন আর ব্যালট বাক্স ভরা, ব্যালট চুরি করার প্রয়োজন হবে না।’
সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাস প্রসঙ্গে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, ‘নতুন দুটি ইউনিয়ন আসাতে কি কেউ হেরে যাওয়ার ভয় করছে। নতুন দুটি ইউনিয়নের ভোট কি কেউ পাবে না, এমন মনে করছে?
‘আসলে এখানে কোনও ব্যক্তির ব্যাপার নয়, মূলত হচ্ছে দুই আসনের জনসংখ্যার পার্থক্য, ভৌগোলিক অবস্থা, যাতায়াত ব্যবস্থা এই সব কিছুর বিবেচনায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গণশুনানিতে তো আমি একা শুনানি করেছি। অন্য দিকে যারা প্রতিপক্ষ তারা ১৪-১৫ জন মিলে শুনানি করেছে। তাদের শুনানিতে যদি আইনি কোনও পয়েন্ট থাকতো, তাহলে তো তারা জিতে যেত। তারা তো জিততে পারলো না।’
এ সময় রুমিন ফারহানার সঙ্গে স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।