ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ছাত্রদলের প্রার্থীদের শুভকামনা জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোজাফফর হোসেন। বিষয়টি নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে সমালোচনা করেছেন। তবে ওসি বলেছেন, তার ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়েছে।
সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ওসি মোজাফফর হোসেনের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে একটি ফটোকার্ড পোস্ট করা হয়। সেটিতে লেখা— ‘শুভকামনা রইল ২১, ১৭, ০৮’। ক্যাপশনে যুক্ত করা হয়— ‘মেধাবীদের জন্য শুভকামনা রইলো।’ এই সংখ্যা তিনটি ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম আবিদ (ব্যালট নম্বর ২১), জিএস প্রার্থী তানভীর বারী হামিম (ব্যালট নম্বর ১৭) এবং এজিএস প্রার্থী তানভির আল হাদী মায়েদের (ব্যালট নম্বর ৮)।
দায়িত্বশীল জায়গায় থেকে একজন সরকারি কর্মকর্তার আইডি থেকে এমন পোস্ট প্রকাশের পর ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। প্রতিবাদ জানিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দও।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এনসিপি নেতা আসাদুজ্জামান খোকন ওসির পোস্টের স্ক্রিনশট শেয়ার করে লিখেছেন, ‘ডাকসুতেই যদি এ অবস্থা হয়, তবে জাতীয় নির্বাচনে কী হবে?’
প্রতিবাদ জানিয়ে এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মোহাম্মদ আতাউল্লাহ লিখেছেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ওসি ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের পক্ষে প্রচারণা করছেন। পুলিশের ওসি পদে থেকে কীভাবে একটি দলের পক্ষে ক্যাম্পেইন করতে পারেন তিনি?’
মোখলেসুর রহমান নামের এক ব্যক্তি ওসির পোস্টে প্রতিবাদ জানিয়ে মন্তব্য করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘আপনি জনগণের সেবক, নির্দিষ্ট কোনও দলের চাকর নন। সেটা মাথায় রেখেই ভবিষ্যতে কাজ করবেন। দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করুন। রাজনীতি করতে চাইলে চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে আসুন। আর না হলে জনগণের টাকায় আহার জোটে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবুন। রাজনীতি করতে হবে না।’
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মুহাম্মদ মোবারক হোসাইন বলেন, ‘এটি দায়িত্বশীল পদে থেকে একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত, অনভিপ্রেত মন্তব্য। অতীতেও এই কর্মকর্তা পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছেন।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ওসি মোহাম্মদ মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, ‘আমার ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছি।’